শরণার্থীদের ঠেকাতে হ্যাঙ্গেরিতে অমানবিক আইন

অবৈধ শরণার্থীদের ঢল ঠেকাতে সোমবার একটি নতুন অমানবিক আইন প্রবর্তন করেছে হ্যাঙ্গেরি সরকার। এই আইনকে অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের গতিরোধে ‘নতুন যুগের সূচনা’ করবে বলেও তারা ঘোষণা দিয়েছে।

নতুন আইনের ফলে পুলিশ এখন সার্বিয়া সীমান্ত থেকে কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে হ্যাঙ্গেরিতে প্রবেশকারী যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার হাজার হাজার শরণার্থী এই সীমান্ত দিয়েই ইউরোপে প্রবেশ করে থাকে।

সোমবার ব্রাসেলস বৈঠকে ইউরোপীয় ইউরিয়নের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা ১ লাখ ২০ হাজার নতুন শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়া সংক্রান্ত পরিকল্পনার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছুতে ব্যর্থ হওয়ার পরপরই এ আইন প্রবর্তনের ঘোষণা দেয় হ্যাঙ্গেরি। সোমবার স্থানীয় সময় রাত দশটা থেকেই বাস্তবায়িত হয়েছে আইনটি। ফলে ওইদিন রাতেই সার্বিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে হাজার হাজার পুলিশ। যাতে করে তারা অবৈধভাবে কোনো শরণার্থী দেশটিতে প্রবেশ করলেই সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে।

এছাড়া সার্বিয়া থেকে ইউরোপে প্রবেশের সময় মূল যে রেল ক্রসিংটি পড়ে সেটিও বন্ধ করে দিয়েছে হাঙ্গেরির পুলিশ। এতসব কড়াকড়ি আরোপের পরও যারা ঝুঁকি নিয়ে দেশটির সীমানা অতিক্রম করবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত ফৌজদারি আইনে মামলা ঠুকে দেয়া হবে। এসব মামলা পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে ৩০ সদস্যের একটি বিচারিক কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

এছাড়া যেসব শরণার্থী সার্বিয়ার সীমান্তবর্তী ১১০ মাইন দীর্ঘ এলাকা জুড়ে নতুন করে নির্মিত কাঁটাতারের বেড়া ক্ষতিগ্রস্ত করবে তাদের বিরুদ্ধেও নেয়া হবে কঠিন আইনী পদক্ষেপ। নতুন আইনের আওতায় শরনার্থীদের বহিষ্কার বা গ্রেপ্তারের অবাধ অধিকার পাচ্ছে পুলিশ।

নতুন আইনের প্রশংসা করে সরকারি মুখপাত্র জোলতান কোভাকস সোমবার রাতে বলেছেন,‘আমরা নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের সবুজ সীমান্তগুলো থেকে হাজার হাজার শরণার্থীকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবো।’



মন্তব্য চালু নেই