লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

লিবিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির সরকার। লিবিয়ায় প্রবেশ করে নৌকাযোগে ইউরোপে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতার কারণে লিবীয় সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

রয়টার্স অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

লিবিয়ায় মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর অস্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশের সুযোগ নিয়ে মানব পাচারকারীরা দেশটির উপকূল ব্যবহার করে ইতালিতে লোক পাচার করছে। আফ্রিকা ও এশিয়ার অসংখ্য শ্রমিক কোন মতে লিবিয়ায় ঢুকে পাচারকারীদের সাহায্যে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

সম্প্রতি ভূমধ্যসাগরে কয়েকটি নৌকাডুবির পর লিবিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে যায়। সে কারণেই বাংলাদেশের শ্রমিকদের লিবিয়ায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল দেশটি।

মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশটির সরকারের মুখপাত্র হাতেম উরাইবি শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশির জন্য লিবিয়ায় প্রবেশে নিষিদ্ধ করা হলো।’

হাতেম উরাইবি আরো বলেন, ‘লিবিয়ার ফার্মগুলোতে কাজ করতে আসে বাংলাদেশি শ্রমিকরা কিন্তু এখান থেকে অবৈধ অভিবাসী হয়ে ইউরোপে প্রবেশ করে তারা। অবৈধ অভিবাসী ঠেকাতে সরকারের পদক্ষেপের একটি অংশ এটি।’

পূর্ব লিবিয়ায় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকা স্থল-নৌ ও বিমানবন্দরে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল অংশে সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। এখানে বিদ্রোহীরা স্বশাসন জারি রেখেছে। এই অংশ দিয়েই পাচারকারীদের সাহায্যে অবৈধ অভিবাসীরা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয়।

গত মাসে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইতালির উপকূলে ভেড়ার সময় নৌকা ডুবে নিহত হয় প্রায় ৯০০ অভিবাসী। অভিবাসীদের অনেকে ইতালির ল্যামপেডুসা দ্বীপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে। তবে অনেক অভিবাসীই দুঃসাহস দেখিয়ে নৌকাযোগো ইতালিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাব মতে, এই বছর ভূমধ্যসাগর দিয়ে প্রায় ৫১ হাজার অভিবাসী ইউরোপে প্রবেশ করেছে। এই পরিস্থিতিতে অভিবাসী বহনকারী নৌকার ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।



মন্তব্য চালু নেই