লিবিয়ায় মিশরের হামলা
লিবিয়ার ইসলামিক স্টেট জিহাদিরা একদল মিসরীয় খৃস্টানকে শিরশ্ছেদ করার ভিডিও প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে মিশর।
মিশরের সরকারি টিভিতে বলা হয়েছে, ভোরের দিকে ওই বিমান হামলায় লিবিয়ার ভেতরে আইএসের প্রশিক্ষণ শিবির এবং অস্ত্রভাণ্ডার টার্গেট করা হয়।
ক্রুদ্ধ মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, বদলার অধিকার রয়েছে তাদের।
এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে লিবিয়ার ইসলামিক স্টেট জিহাদিরা একদল মিসরীয় খৃস্টান ধর্মাবলম্বীর শিরশ্ছেদ করার একটি ভিডিও প্রকাশ করে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েক সপ্তাহ আগে লিবিয়ায় অপহৃত ২১ জন মিসরীয় খৃস্টানের মধ্যে অন্তত দশজনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মিসরের প্রেসিডেন্ট আল সিসি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে তড়িঘড়ি এক বৈঠক করে, সাতদিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
জঙ্গিদের প্রকাশিত ফুটেজের ক্যাপশনে লেখা ছিল, ধর্মের কারণেই তাদের হত্যা করা হয়েছে।
মিসরের প্রধান ইসলামিক প্রতিষ্ঠান আল অজহার এ ঘটনাকে বর্বরোচিত বলে আখ্যায়িত করেছে।
কায়রোতে বিক্ষোভ
যুক্তরাজ্যের কপটিক চার্চের বিশপ এ্যাঞ্জেলোস বিবিসি’কে বলেছেন, এ ঘটনায় মিসরের সরকারের কিছু করার ছিল না।
তিনি বলেছেন, এখানে মিসরের সরকারের কিছু করার নেই, যেমন শিরশ্ছেদের শিকার ব্যক্তিরা বৃটেনের নাগরিক হলে বৃটেনের কিছুই করার থাকত না।
বিশপ এ্যাঞ্জেলোস বলেন, পুরো বিষয়টিকে সামগ্রিকভাবে দেখতে হবে, এবং এ ঘটনার জবাবে আরো ভয়ংকর সহিংসতা করা উচিত হবে না।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও, প্রতিবছর কাজের খোঁজে হাজার হাজার মিসরীয় সীমান্ত পেরিয়ে লিবিয়াতে যায়।
গাদাফির পতনের পর লিবিয়ায় বিবদমান অনেকগুলো জঙ্গি ও জিহাদি গোষ্ঠী থাকায় লিবিয়ায় আইএসের শক্তি ঠিক কতটা, তা অনুমান করা কঠিন।– বিবিসি।
মন্তব্য চালু নেই