রোহিঙ্গাদের সহস্রাধিক বাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সেনারা
গত দেড় মাসে মিয়ানমার সরকার সেদেশের রোহিঙ্গা মুসলমানদের এক হাজার ২৫০টির বেশি ঘরবাড়ি গুড়িয়ে দিয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর (এইচ আর ডব্লিও) এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটি জাতিসংঘের মাধ্যমে ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
উপগ্রহ থেকে তোলা মিয়ামারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যের কিছু হাই ডেফিনেশন (এইচডি) ছবি বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থার এক রিপোর্ট আজ সোমবার প্রকাশ করা হয়েছে। এইচ আর ডব্লিওর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড এডাম্স বলেন, ছবিতে দেখা যায়, রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করার প্রকৃত চিত্র সরকার যতটা স্বীকার করে তার চেয়েও ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনক। তারা বহু গ্রাম ধ্বংস করে দিয়েছে।
এইচ আর ডব্লিও রাখাইনের তিনটি গ্রামে সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গাদের ৪৩০টি বাড়ি ধ্বংস করে দেয়ার স্যাটেলাইটে তোলা ছবি প্রকাশ করার পর গত সপ্তাহে মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র জাও হটে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং সংস্থাটির বিরুদ্ধে ঘটনা অতিরঞ্জিত করার অভিযোগ তোলেন।
১১ লাখ জনসংখ্যার রাখাইন মুসলমানদেরকে মিয়ানমার সরকার প্রতিবেশি বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসাবে অভিহিত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে অনেক বছর ধরে সুপরিকল্পিতভাবে নির্মূল অভিযান পরিচালনা করছে। সরকারিভাবে পরিচালিত এই সহিংসতাকে রোহিঙ্গাদেরকে দেশটির জনগণ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখা হচ্ছে।
সরকারের মিত্র বৌদ্ধ চরমপন্থীরা রাখাইনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালিয়েছে এবং শত শত মুসলমানকে হত্যা করেছে। এসব ঘটনায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমানইঁৎসধথঅৎধশধহ ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের দুর্দশা সম্পর্কে এইচ আর ডব্লিওর পরিচালক ব্রাড এডাম্স জানান, ছয় সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা সহিংসতায় তারা চরম নাজুক অবস্থার মধ্যে রয়েছে। কিন্তু তাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোনও রকম সাহায্য পৌঁছেনি। তিনি মিয়ানমারের মুসলমানদের বিরুদ্ধে মির্মম অত্যাচার-নিপীড়নের ঘটনা জাতিসংঘের মাধ্যমে তদন্তের দাবি জানান। সূত্র: প্রেসটিভি
মন্তব্য চালু নেই