বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাজ্য

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি দেশটির পরিবহনমন্ত্রী ক্রিস গ্রেইলিং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননকে লেখা এক চিঠিতে এই তাগিদ দেন। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে ও পরিবেশ আরও উন্নতি করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরুতে শাহজাহাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ঘাটতির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য সরাসরি কার্গো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের একটি কোম্পানিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশা করি, শিগগিরই এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’

এদিকে, গত সেপ্টেম্বরে পৃথিবীর সব দেশের বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন বিমানবন্দরে সংঘটিত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। গত বছর মিশরে সন্ত্রাসী হামলায় একটি রাশিয়ান বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। এ বছর বেলজিয়ামের বিমানবন্দরে সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা চালালে অনেকে হতাহত হন। এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতেই নিরাপত্তা পরিষদে এ রেজুলেশন গৃহীত হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘রেজুলেশনে যে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশ পূরণ করেছে। বাকিটা পূরণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রেজুলেশনটিতে বিমানবন্দরে নিরপত্তা চেকিং বাড়ানোসহ যাত্রী পরিবহনের আগে যে গন্তব্যে বিমান যাচ্ছে, সেখানে যাত্রীদের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা বহিনীর মধ্যে সমন্বয় সাধনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘দেশের ভেতরে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে অধিক সমন্বয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশন মেনে চলা প্রতিটি দেশের জন্য বাধ্যতামূলক।’



মন্তব্য চালু নেই