রোহিঙ্গাদের চাকরির সুযোগ দিবে মালয়েশিয়া

মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা মুসলিম শরণার্থীদের বৈধভাবে কাজের সুযোগ দিবে মালয়েশিয়া সরকার। প্রাথমিকভাবে আগামী ১ মার্চ থেকে এ বিষয়ক একটি পাইলট প্রকল্প শুরু হবে। প্রথমে তিনশত রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি এ ঘোষণা দেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশ ত্যাগে বাধ্য হওয়া রোহিঙ্গা মুসলিমরা মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কাজের অনুমতি পাবেন। তবে তাদের অবশ্যই জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধন কার্ড থাকতে হবে। আবেদনের পরে নির্বাচিত রোহিঙ্গাদের দেশটির কৃষি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে নিয়োগ দেয়া হবে।

মালয়েশিয়া সরকারের পাইলট প্রকল্পের আওতায় ৩০০ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গা দেশটিতে বৈধভাবে কাজের সুযোগ পাবেন। অবশ্য এ প্রকল্পে তেমন একটা সাড়া পাওয়া যায়নি বলে জানান দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নূর জাজলান। এখন পর্যন্ত মাত্র ১২০ জন রোহিঙ্গা নিবন্ধন করেছেন।

তিনি বলেন, নির্যাতনের পরে রোহিঙ্গারা নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে, স্বজনদের মধ্যে থাকতে পছন্দ করছেন। তারা কৃষিখাতে কাজের বদলে, নিজ সম্প্রদায়ের ভেতরে ক্ষুদ্র ব্যবসা করতেই বেশি আগ্রহী। তাই এ প্রকল্পে তেমন একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আশাবাদী জাহিদ হামিদি। তিনি বলেন, এ পরিকল্পনার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা তৃতীয় কোনো দেশে স্থায়ী হওয়ার আগে সাময়িকভাবে দক্ষতা অর্জন ও উপার্জনের সুযোগ পাবেন। একইসাথে এ পরিকল্পনার মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কাজের সন্ধানে অবৈধ পথে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কমবে বলেও আশা করছে দেশটির সরকার।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার শরণার্থী ইউএনএইচসিআর এর নিবন্ধন কার্ড নিয়েছেন। অন্তত ৬২টি দেশ থেকে তারা মালয়েশিয়ায় এসেছেন। দেশটির অধিকার বিষয়ক সংগঠন তেনাগানিতা’র মতে, এসব শরণার্থীর ৯০ শতাংশই মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষ।



মন্তব্য চালু নেই