রোজা রাখার সময় কমিয়ে আনার প্রস্তাব ব্রিটেনে

ব্রিটেনে শীর্ষস্থানীয় একটি মুসলিম ফাউন্ডেশন এবছর ব্রিটেনে রোজা রাখার সময় কিছুটা কমিয়ে আনার সুপারিশ করেছে।গ্রীষ্মকালে লম্বা দিন হওয়ার কারণে ব্রিটিশ মুসলিমদের প্রতি এই আহবান জানিয়েছে এই ফাউন্ডেশনটি।

কুইলিয়াম ফাউন্ডেশনের একজন ওলেমা ড. ওসামা হাসান বলেছেন, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত রোজা রাখার অর্থ হচ্ছে কোন ধরনের খাবার বা পানি ছাড়াই প্রায় ১৯ ঘণ্টা কাটানো। ব্রিটেনে রোজা রাখার এই সময় মধ্যপ্রাচ্য বা বিশ্বের যেকোনো মুসলিম দেশে রোজা রাখার সময়ের তুলনায় বেশি।

ইসলামে ভারসাম্য ও নমনীয়তার কথা বলা হয়েছে। গ্রীষ্মকালের মাঝামাঝি দিন খুব বেশি লম্বা হয়। কারণ ব্রিটেন উত্তর মেরুর কাছাকাছি
ড. ওসামা হাসান

ড. হাসান বলছেন, অনেকের জন্যেই এতো দীর্ঘ সময় ধরে কিছু না খেয়ে থাকা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তিনি বলছেন, একারণে রোজা রাখার সময়ে পরিবর্তন আনার মধ্যে যৌক্তিকতা আছে। তার মতে এই সময় কয়েক ঘণ্টা কমিয়ে আনা যেতে পারে।

“ইসলামে ভারসাম্য ও নমনীয়তার কথা বলা হয়েছে। গ্রীষ্মকালের মাঝামাঝি দিন খুব বেশি লম্বা হয়। কারণ ব্রিটেন উত্তর মেরুর কাছাকাছি।” বলেন তিনি।

রোজার সময়সীমা নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে কয়েকশো বছর ধরে বিতর্ক চলছে।

140419084343_east_london_mosque_640x360_bbc_nocredit
পূর্ব লন্ডন মসজিদ

ড. হাসান বলছেন, “মক্কায় যেমন ১২/১৩/১৪ ঘণ্টা রোজা রাখা হয় সেরকম রাখলেই হয়। এরচে বেশি সময় রোজা রাখার দরকার হয় না।”

আগমী বৃহষ্পতিবার রমজান মাস শুরু হচ্ছে। তবে এটা নির্ভর করছে চাঁদ দেখা যাওয়ার ওপর। তবে ব্রিটেনে বহু মুসলিম এই প্রস্তাবের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

তারা মনে করেন, তারা যেদেশে বসবাস করছেন সেদেশে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের সময় অনুসরণ করেই তাদেরকে রোজা রাখতে হবে। তাদের যুক্তি হলো যতক্ষণ ধরেই রোজা রাখা হোক না কেনো একসময় মানুষের শরীর এতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।

কেউ কেউ বলেন, এজন্যে আল্লাহও তাদেরকে সাহায্য করেন। ব্রিটেনের এই কুইলিয়াম ফাউন্ডেশনটি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে থাকে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা



মন্তব্য চালু নেই