রাখাইনে ফের রোহিঙ্গাদের উপর হামলা, নতুন স্থাপনায় নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে সেনা কর্তৃক চলমান নির্যাতনে রোহিঙ্গারা গত দুই মাস ধরে সে দেশে পুড়িয়ে দেয়া বসতভিটায় নতুন স্থাপনা তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মিয়ানমার সেনারা।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে নতুন করে মংডুর রাইম্মাবিল, শিলখালী, কেয়ারীপ্রাং, চালিপ্রাং এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলিদের বসতবাড়িতে ঢুকে লুটপাট চালিয়েছে মিয়ানমার সেনারা। আর তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে রাখাইন ও মুরুং বিদ্রোহীরা। তারা তছনছ করে দিচ্ছে ঘরের আসবাবপত্র। ভয় উপেক্ষা করে যেসব বাড়িতে এখনও নারী ও শিশুরা রয়েছে তাদের ওপর চালানো হচ্ছে পাশবিক নির্যাতন।

পুরুষদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেনা ক্যাম্পে। আর মহিলাদে ধরে নিয়ে গিয়ে (প্রচার অযোগ্য শব্দ) করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ সংযোগ নষ্ট করে দেয়া শুরু করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যাতে নৃশংসতার খবর নির্যাতিতরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিশ্বকে জানাতে না পারে।

এদিকে মঙ্গলবার ভোরে নাফ নদীর এপারে হোয়াইক্যং ওপারের শিলখালী এলাকার একটি পাড়ায় সেনারা আবারও আক্রমণ চালায়। তারা নারীদের ওপর চালায় পাশবিক নির্যাতন। রোহিঙ্গাদের স্থানীয় শিলখালী বাজার আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়।

পালিয়ে আশ্রয় নেয়া নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা জানান, আরকানের মংডুতে রোহিঙ্গা নারীদের পাশবিক নির্যাতন, পুরুষদের গুলি, বসতবাড়িতে আগুন, সহায় সম্পদ লুটপাট ও শিশুদের গলা কেটে হত্যার মহোৎসব চলছে।



মন্তব্য চালু নেই