রাখাইনের সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তার প্রস্তাব চীনের
নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা, সহিংসতার ঘটনায় সীমান্ত এলাকার অস্থিতিশীলতা কমিয়ে আনতে মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। বেইজিং বলছে, সীমান্ত এলাকায় স্থিতিশীলতা আনতে উভয় দেশকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারে সহিংসতার ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে চীনে আশ্রয় নিয়েছে। চলতি মাসের নিরাপত্তা বািহনীর ওপর হামলার ফলে দেশটিতে জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির শান্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা ধাক্কা খেয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকার সহিংসতায় উদ্বিগ্ন চীন। গত বছর এই এলাকায় পাঁচ চীনা নাগরিক খুন হয়েছিলেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্তী ওয়াং ওয়াইআই মিয়ানমারের এক প্রতিনিধি দলের কাছে রাখাইনের অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
মিয়ানমারে শান্তি পরিষদের চেয়ারম্যান তিন মিও উইনের নেতৃত্বে চীন সফরে রয়েছে ওই প্রতিনিধিদল। রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুনরায় সেনা বাহিনীর অভিযান গুটিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান ওয়াং ওয়াইআই। একই সঙ্গে সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীন-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় উভয় পক্ষকে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক ও সামরিক কৌশলের যথাযথ ব্যবহার করা উচিত।
এমন এক সময় চীনের উদ্বেগ প্রকাশ করলো; যখন রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনাবাহিনী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে। সেনা নির্যাতনের মুখে শত শত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালাচ্ছেন। গত বছর জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে দেশটির ক্ষমতায় আসা শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সু চিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে রাখাইনের এ সহিংসতা।
সীমান্ত এলাকায় সহিংসতার ফলে হাজার হাজার মানুষ অতীতেও চীনে ঢুকে পড়ে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীন শান্তি প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন ওয়াং। এ ছাড়া মিয়ানমারকে যে কোনো ধরনের সহায়তার জন্য চীন প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়ছেন তিনি।
চীনের এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার পূর্ব শর্তে ও এ বিষয়ে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে মিয়ানমারের ইচ্ছা অনুযায়ী চীন কাজ করতে আগ্রহী।
সূত্র : রয়টার্স।
মন্তব্য চালু নেই