পাকিস্তানি কাশ্মীরে আতংক, বাঙ্কার তৈরির হিড়িক

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বাংকার তৈরির হিড়িক পড়েছে। এই অঞ্চলে আন্ত:সীমান্ত সহিংসতা অনেক বেড়ে গেছে। ফলে ১৯৯০’র দশকের পর এই প্রথম এ অঞ্চলের বাসিন্দারা আত্মরক্ষার্থে ভূ-গর্ভে বাঙ্কার তৈরিতে বাধ্য হচ্ছে।

দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মাসের পর মাস ধরে উত্তেজনা চলছে। বিতর্কিত কাশ্মীর সীমান্তে উভয় দেশের মধ্যে প্রায়ই গুলি বিনিময় হচ্ছে। এসব হামলায় অনেক সামরিক ও বেসামরিক লোক নিহত হয়।

আজাদ কাশ্মীরের নীলুম ভ্যালীর বাসিন্দারা জানান, সেখানে সপ্তাহে এক বা দুইবার হামলার ঘটনা ঘটছে। আর এসব হামলা থেকে তারা নিজেদের রক্ষা করতে পারবে কিনা তারা জানে না। কারণ এসব ঘটনায় নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার কোন সুযোগ তারা পাচ্ছে না।

চান্দ বিবি নামে সেখানকার এক বাসিন্দা ভূ-গর্ভে একটি বাঙ্কার তৈরীর জন্য ইট-পাথর ও রডসহ বিভিন্ন সামগ্রী জোগাড় করেছে। হামলার সময় যাতে সে তার পরিবারের আতংকিত সদস্যদের নিয়ে সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।

৬২ বছর বয়সী এ নারী বলেন, ‘আপনারা আতংকের কথা বলছেন। আর আমরা এখানে বাস করছি মৃত্যুর কাছাকাছি। শুনছি কেবলি গুলির শব্দ। আর গুলির শব্দ অনেক ভয়ংকর।’

এ বাঙ্কারে পরিবারের প্রায় ২০ জন সদস্য আশ্রয় নিতে পারবে। এ জন্য তাদেরকে ৩ লাখ পাকিস্তানি রুপী খরচ করতে হচ্ছে। অথচ ওই এলাকায় গড় মুজুরি মাত্র ৮শ রুপির মতো।

সুলতান আহমেদ নামের এক ব্যক্তির ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ প্রশস্তের একটি বাঙ্কার তৈরী করতে ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ রুপী। ৪৭ বছর বয়সী এ ব্যক্তি জানান, এ বাঙ্কারে প্রায় ২৫ জন আশ্রয় নিতে পারবে।



মন্তব্য চালু নেই