যৌন হয়রানি : ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন শিক্ষক!
গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে বিজ্ঞান বিভাগের এক দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষক নিজের দোষ আড়াল করতে এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান। তিনি তার অপকর্মের জন্য ছাত্রীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ওই ছাত্রী শিক্ষকের সংসার রক্ষায় তাকে ক্ষমা করে দেয়ার আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পার্শ্ববর্তী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলির সিদ্ধান্ত প্রায় চুড়ান্ত করেছে। শাস্তির পরিবর্তে বদলির খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন যৌন নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীর অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।
অভিযোগ মতে, গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভৌত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক আব্দুর রউফ নিজ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ২৫ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে একা পেয়ে যৌন হয়রানি করেন। পরে ওই ছাত্রী এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব ও প্রধান শিক্ষক বরাবর ২৮ জানুয়ারি একটি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ অভিভাবকরা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়ে প্রধান শিক্ষক বরাবর আরেকটি অভিযোগ করেন।
এতে উল্লেখ করা হয়, যে শিক্ষক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক আচরণ করেন, তিনি কোন শিক্ষক হতে পারেন না। তার শিক্ষকতা করার কোন অধিকার নেই।
প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক দিলালা খানম লিটুকে আহব্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্ত টিমের অন্যান সদস্যরা হলো- সহকারী শিক্ষক আছমা আকতার বানু, রোকসানা আফরিন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন ও জাতীয় মহিলা সংস্থার সভানেত্রী আফরোজা।
ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত টিমের দেওয়া প্রতিবেদনে ওই শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করা হয়।
গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসার কুতুব উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই