যে ১০টি ক্ষেত্রে ভারতের কাছে হেলায় হারবে পাকিস্তান-আমেরিকা-চীনও
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এক নতুন ভারত গড়ে উঠছে। সমালোচকরা যাই বলুক না কেন, দেশজুড়ে যে আজ উন্নয়ন যোগ্য শুরু হয়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
উন্নয়শীল হলেও ভারত আজ বেশ কিছু ক্ষেত্রে যে কোনও প্রথম বিশ্বের দেশকেও হেলায় হারাতে পারে। মকর সংক্রান্তির এই পুণ্য লগ্নে জেনে নিন, কোন কোন বিষয়ে ভারত পাকিস্তান এমনকি আমেরিকা, বা চীনের মতো সুপার পাওয়ার দেশের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে।
১. হাই অ্যাল্টিটিউড মাউন্টেন ওয়ারফেয়ারে একাধিপত্য: চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যখন দেশের সীমান্ত ভাগ করে নিতে হয় ভারতকে, তখন পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধে যে সেনাবাহিনীকে বিশেষ দক্ষ হতেই হবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
বিগত কয়েক দশক ধরেই পার্বত্য অঞ্চলে যে কোনও যুদ্ধে বিশ্বের কাছে আতঙ্কের আরেক নাম ভারতীয় সেনাবাহিনী। হাই অ্যাল্টিটিউড মাউন্টেন ওয়ারফেয়ারে ভারত দীর্ঘদিন ধরেই একাধিপত্য স্থাপন করে রেখেছে। কাশ্মীরের গুলমার্গে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ শিবিরে ব্রিটিশ, মার্কিন সেনারা প্রশিক্ষণ নিতে আসে। সিয়াচেনে হাড় কাঁপানো ঠান্ডাতেও ভারতীয় সেনা বিপক্ষকে মাত দিতে পারে।
২. নির্ভুল রিমোট সেন্সিং ক্যাপাবিলিটি: একটা সময় ছিল, যখন আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্যের জন্য মার্কিন স্যাটেলাইটের উপর ভারতকে সম্পূর্ণ নির্ভরশীল থাকতে হত। এই নির্ভরশীলতার জন্যই ১৯৯৯-এ ওড়িশায় সাইক্লোনের ফলে প্রায় ২০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। জাম্প কাট টু ২০১৫। এখন আবহাওয়া ও ভূ-প্রাকৃতিক বিভিন্ন তথ্যের জন্য ভারতের পাঠানো উপগ্রহের উপরেই বরং অনেকাংশে নির্ভর করে থাকতে হয় ওয়াশিংটনকে।
৩. সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত নিউক্লিয়ার প্রোগ্রাম: গোটা বিশ্বের নামজাদা বৈজ্ঞানিকরা যখন পারমাণবিক জ্বালানির জন্য ইউরেনিয়ামের বিকল্প উৎস খুঁজছেন, তখন ভারত থোরিয়াম থেকে পারমাণবিক জ্বালানি সংগ্রহে অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে।
৪. যোগ ও আয়ুর্বেদ: গোটা দুনিয়া এখন যোগের মাহাত্ম্যকে স্বীকার করে নিয়েছে। নিয়মিত যোগাসন করলে শরীর যে সুস্থ ও বলশালী থাকে, সে বিষয়ে এখন কোনও দ্বিমত নেই। ভারত এখন যোগাসনের সঙ্গে আধুনিক মেডিক্যাল সায়েন্সকে জুড়ে দিয়ে নয়া দিগন্ত দেখাচ্ছে বিশ্বকে।
৫. মঙ্গলাভিযান: ভারতের মঙ্গলাভিযান নিয়ে জানে না, পৃথিবীর কোনও প্রান্তে এমন মানুষের দেখা মিলবে না সম্ভবত। এশিয়ার প্রথম ও বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসাবে মঙ্গলে পৌঁছে গিয়েছে ইসরো-র মঙ্গলযান। মাত্র ৪৫০ কোটি টাকা খরচে কীভাবে এত বড় ও জটিল অভিযান সাফল্যের সঙ্গে শেষ করল ভারত, ভাবতে বসে কূলকিনারা খুঁজে পান না আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিকরা।
৬. তৃতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী: প্রায় ১১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯০০ জনের সশস্ত্র বাহিনী ও ৯ লক্ষ ৬০ হাজার জওয়ানের রিজার্ভ ট্রুপকে ভয় পায় না এমন ভয়ডরহীন দেশ রয়েছে?
৭. ইন্টারনেট ইউজারে দ্বিতীয়: ভবিষ্যতকে নিয়ন্ত্রণ করবে যে ইন্টারনেট, সেই ইন্টারনেট ব্যবহারে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
৮. পরমাণু গবেষণা: গত ৬৬ বছরে দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত অন্তত ৭টি নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টে ২১টি নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর চালু হয়েছে। আরও ৬টি রি-অ্যাক্টর চালু হওয়ার পথে।
৯. ভয়ঙ্কর বিমানসেনা: ১৮২০টি এয়ারক্রাফট, ৯০৫টি কমব্যাট প্লেন, প্রায় ৬০০টি যুদ্ধবিমান ও ৩১০টি অ্যাটাকার্সে সজ্জিত ভারতীয় বিমানসেনা আজ বিশ্বের চতুর্থ ভয়ঙ্কর বাহিনী। ভারতের সামনে রয়েছে জার্মানি, ব্রিটেনের মতো কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ।
১০. তথ্য-প্রযুক্তিতেও নজির ভারতের: দ্রুতই চীনকে টপকে তথ্য-প্রযুক্তিতে বিশ্বের শীর্ষ স্থানটি দখল করবে ভারত।
মন্তব্য চালু নেই