যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করল মিশর-রাশিয়া

২২৪ আরোহী নিয়ে মিশরের সিনাই উপত্যকায় রাশিয়ার বিমান দুর্ঘটনার তত্ত্ব নিয়ে সাবধান করে দিয়েছে মিশর ও রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দাবি বোমা হামলায় বিমানটি দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। দুর্ঘটনার পরপরই ইসলামী স্টেট (আইএস) হামলার দাবি করেছিল।

রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দাবি ‘ধারণাপ্রসূত’। একই সময় মিশরও বলেছে, তাদের দাবির সপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের গোয়েন্দারা জানিয়েছে বিমানটিতে বোমা থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। ওই ঘটনার পর শারেম আল শেখ বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাজ্যের সব ধরনের বিমান উড্ডয়ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত শনিবার মিশরের শারেম আল শেখ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের ২৩ মিনিটের মধ্যে সিনাইয়ের মরুভূমিতে বিধ্বস্ত হয় মেট্রোজেট এয়ারবাস ৩২১ নামে ওই বিমানটি। বিমানটি রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় এর ২২৪ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়। যাত্রীদের অধিকাংশই রাশিয়ার পর্যটক।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত নই যে সন্ত্রাসীদের বোমা বিস্ফোরণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে এমনটা হতেও পারে।’

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘তাদের ব্যাখ্যা বা তত্ত্বে কোনো ধরনের তথ্যপ্রমাণ নেই। এটি এক ধরনের ধারণাপ্রসূত। মিশরের বেসরকারি বিমানমন্ত্রী হোসেন কামালও বলেছেন, বোমা হামলার ব্যাপারে তারা কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

রাশিয়ার বিমান সংস্থার প্রধান আলেক্সান্দার নেরাদকো বলেছেন, মিশর এ ঘটনার তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছে। রাশিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা তাদের সহায়তা করছে। বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে বোমা বিস্ফোরণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

যুক্তরাজ্যে সফররত মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাতাহ আল সিসি বলেছেন, আমরা এখনই কোনো উপসংহার টানতে চাচ্ছি না। সব বিষয়ই আমরা একে অপরকে জানাবো। দুর্ঘটনার পেছনের প্রকৃত কারণ আমরা জানতে চাই।

তিনি বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে সব তদন্ত প্রকাশ করা হবে। আমরা কিছুই লুকাতে চাই না। সিসি আইএসের দাবিকে প্রোপাগান্ডা বলে মত দিয়েছেন।

তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন।



মন্তব্য চালু নেই