মোদির সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা, তালিকায় মুসলিমরাও

দিলিপ মজুমদার, কলকাতা (ভারত) : আগামী সোমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, তরুণদের কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ, শিল্পায়নসহ নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল ভোটে কংগ্রেসকে হারিয়েছে বিজেপি। এ কারণে মোদির মন্ত্রিসভা নিয়ে সবারই আগ্রহ বেশি। মোদির প্রধানমন্ত্রিত্ব নিশ্চিত হওয়ার পরই এ নিয়ে ভারতে ও এর বাইরে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে।

তবে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরপরই মন্ত্রিত্ব নিয়ে লবিং না করতে দলীয় লোকজনদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন মোদি। এছাড়া মন্ত্রিসভা ছোট আকারের করাও পক্ষে তিনি।

ইতিমধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যদের তালিকা চূড়ান্ত করার জন্য দলটি বেশ কয়েকটি বৈঠকের আয়োজন করে। এসব বৈঠক সূত্রে জানা যাচ্ছে সম্ভাব্য মন্ত্রীদের নাম।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে শোনা যাচ্ছে অরুণ জেটলি, অরুণ সুরি এবং সুব্রাহ্মনিয়াম স্বামীর নাম। তবে দায়িত্ব যেই পান না কেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করাই হবে তার প্রধান চ্যালেঞ্জ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবেও শোনা যাচ্ছে অরুণ জেটলির নাম। মোদির কাছের লোক বলেই পরিচিত জেটলি ও সুরি।

বিজেপির সভাপতি রাজনাথ সিং পেতে পারেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে বিজেপির সভাপতি পদে দেখা যেতে পারে অমিত শাহকে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের এই নেতা বিজেপির জয়ে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

গত লোকসভায় এনডিএ জোটের বিরোধীদলীয় নেত্রী সুষমা স্বরাজ পেতে পারেন প্রতিরক্ষা কিংবা মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। সুষমা স্বরাজের আগ্রহ প্রধান চারটি মন্ত্রণালয়ের দিকেই। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে মনে করা হয় এই চারটি মন্ত্রণালয়কে। সেগুলো হলো- স্বরাষ্ট্র, অর্থ, প্রতিরক্ষা এবং পররাষ্ট্র।

রেলওয়ে মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেতে পারেন ভেনকিয়া নাইডু। নিতিন গড়করির কপালে জুটতে পারে নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।

গুজরাটে মুসলিম নিধনের খলনায়ক বলে অনেকে মোদির দিকে আঙ্গুল তুললেও তার মন্ত্রিসভায় মুসলিম দুই নেতা শাহনেওয়াজ হুসেইন এবং মুক্তার আব্বাস নকভিকেও দেখা যেতে পারে। এদের কোনো একজনকে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রণালয় দেয়া হতে পারে।

এদিকে দলের প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদাভানির জন্য একটি সম্মানজনক পদ রাখার কথা ভাবছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে তার ইচ্ছানুযায়ী লোকসভার স্পিকার অথবা বিজেপি জোট সরকারের উপদেষ্টা করা হতে পারে। মোদির সঙ্গে আদভানির মনোমালিন্যের বিষয়টি অবশ্য সবার জানা। লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদির নেতৃত্বের বিরোধিতাও করেছিলেন তিনি।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে ২৮২ আসনে জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে বিজেপি। বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেয়েছে ৩৩৬টি আসন।

সূত্র জানায়, মিত্র দলগুলোকেও মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়ার কথা ভাবছে বিজেপি। শিব সেনা, চন্দ্রবাবু নাইড়ুর তেলেগু দেশম পার্টি, রাম বিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি দলও মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।



মন্তব্য চালু নেই