মুরসির মৃত্যুদণ্ড

জেল ভেঙে পালানোর মামলায় মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত।

শনিবার ওই রায় ঘোষণা করা হয় বলে বিবিসির অনলাইনের ব্রেকিং নিউজে বলা হয়েছে। মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুরসির সঙ্গে তার সহযোগী আরো ১০৫ জনকে একই সাজা দেওয়া হয়েছে।

তবে ওই সাজা অনুমোদনের জন্য দেশটির প্রধান ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ গ্র্যান্ড মুফতির সম্মতি লাগবে। গ্র্যান্ড মুফতি ওই রায়ের অনুমতি দিলেও অভিযুক্তরা সর্বোচ্চ আদালতে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। আদালত চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করবেন ৬ জুন। সাজাপ্রাপ্তদের অনেকে পলাতক রয়েছেন।

২০১১ সালে মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলে কায়রোয় অবস্থিত একটি কারাগার ভেঙে পালানোর অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। এ সময় বেশ কয়েক জন কারারক্ষী নিহত হন। এর আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকাকালে বিক্ষোভকারীদের নির্যাতন ও গ্রেফতারের জন্য মুরসিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মুরসির রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের বেশ কয়েক শ নেতা-কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজনেরও ওই সাজা কার্যকর হয়নি।

মুরসি সমর্থকরা জানিয়েছেন, এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। আদালত এ রায়ের মাধ্যমে সেনা অভ্যুত্থানের মতো অসৎ কাজকেই অনুমতি দিয়েছেন। মুরসিও গঠিত ওই আদালতকে অবৈধ বলে দাবি করেন।

দীর্ঘদিন ক্ষমতা আকড়ে থাকা একনায়ক হোসনি মোবারক বিক্ষোভের মুখে ২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ২০১২ সালে প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মুরসি। মাত্র এক বছরের মাথায় গণ বিক্ষোভের মুখে সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মুরসিপন্থী ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করলে বেশ কয়েক শ লোক নিহত হন। হাজারো নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।

তৎকালীন সেনা সমর্থিত মিশরের অন্তর্বর্তী সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে। ২০১৪ সালে ‘এক তরফা’ নির্বাচনের মাধ্যমে মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আবদুল ফাত্তাহ আল সিসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।



মন্তব্য চালু নেই