মিয়ানমারে মানবপাচারকারী নৌকার মালিক আটক

মিয়ানমারে আটক ২০৮ অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহনকারী নৌকার মালিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। দেশটির রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে তাকে আটক করা হয় বলে গত শনিবার জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। খবর ব্যাংকক পোস্টের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক নাইঙ্গনাত পতুনসান্তান (৫৩) থাইল্যান্ডের নাগরিক। মিয়ানমারে তিনি ওউ মিন্ত, ফিমিন্ত ও সো উইন ছদ্মনামে মানবপাচারের কাজ চালাতেন।

গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানং প্রদেশ থেকে আসা ওই মানবপাচারকারীকে থাই পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয়। তবে তাকে ঠিক কবে এবং কী অভিযোগে আটক করা হয়েছে এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমগুলো কিছু জানাতে পারেনি।

বলা হয়েছে, আটক নাইঙ্গনাতের বাংলাদেশের মানবপাচারকারী চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তারা লোকদের পাচার করে থাইল্যান্ড ও মালেয়েশিয়ায় নিয়ে যেত।

গত ২১ মে ২০৮ বিদেশগামীবাহী একটি কাঠের নৌকা আটক করে মিয়ানমার। তাদের সরকারের দাবি, ওই নৌকাতে থাকা সকলেই বাংলাদেশী। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ আরোহীকে নিজ দেশে বাস করা ‘বাঙালি’ (রোহিঙ্গা) হিসেবে স্বীকার করে নেয় সরকার।

তবে রয়টার্সের আরেকটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উদ্ধার হওয়া আরোহীদের বরাতে দাবি করা হয়েছে, আটকের আগেই নৌকাটি থেকে অন্তত ১৫০-২০০ রোহিঙ্গা মুসলিমকে সরিয়ে নেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই