মিয়ানমারকে ‘চূড়ান্ত ব্যবস্থা’র হুমকি চীনের

সীমান্তে আবারও বেসামরিক নাগরিক হত্যার মতো ঘটনা ঘটলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ‘চূড়ান্ত ব্যবস্থা’ নেয়ার হুমকি দিয়েছে প্রতিবেশী চীন। একই সঙ্গে দেশটি সীমান্তে টহল ও যুদ্ধবিমান বিমান মোতায়েন করেছে ।

শুক্রবার চীনের ইউনান প্রদেশের একটি আখ ক্ষেত্রে বিমান হামলা চালায় মিয়ানমারের বিমান বাহিনী। এতে চার চীনা বেসামরিক নাগরিক নিহত ও নয়জন আহত হয়। মিয়ানমারের শান প্রদেশে তৎপর কোকাং গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কখনো কখনো এ লড়াই সীমান্ত পেরিয়ে চীনের ভেতরেও ছড়িয়ে পড়ে।

মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা সার্ভিসের কমান্ডার-ইন-চিফ মিং অং এইচলিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে চীনা কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্যান চ্যাংলং বলেছেন, সীমান্তে আর যদি এ ধরনের হত্যার ঘটনা ঘটে তাহলে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেয়া হবে। একই সঙ্গে চ্যাংলং বিমান হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচার, ক্ষমা চাওয়া এবং ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছেন। এর পাশাপাশি এসব বিষয়ে কি করা হয়েছে তা চীন সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর কথাও বলেছেন তিনি।

এর আগে চীনের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিউ ঝেনমিন বেইজিংয়ে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত থিট লিন ওহনকে তলব করে বিমান হামলার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কড়া প্রতিবাদ করেছেন এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, হামলায় জড়িত ও দোষী ব্যক্তিদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সীমান্তে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন লিউ।

এদিকে সীমান্তে টহল ও যুদ্ধবিমান বিমান মোতায়েন করেছে চীন। বিমানবাহিনীর মুখপাত্র শেন জিংকের বরাত দিয়ে সরকারি বার্তা সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, এসব বিমান মিয়ানমারের সামরিক বিমানকে শনাক্ত, পর্যবেক্ষণ ও সতর্ক করবে এবং দূরে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।



মন্তব্য চালু নেই