মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পারেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিকি!

ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান নিকি হলেকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হতে পারে। তিনি সাউথ ক্যারোলিনার প্রথম নারী গভর্নর।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৃহস্পতিবার দেখা করেন হলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা না হলেও তাকে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় বিবেচনা করা হচ্ছে। ট্রাম্পের ‘ট্রানজিশন টিম’ বা ক্ষমতাগ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত টিম এমনটাই জানিয়েছে। খবর সিএনএন ও এনডিটিভির।

ট্রাম্প তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডি জুলিয়ানিকে বিবেচনা করছেন বলেও আলোচনা রয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময় জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জন বোল্টনও একই পদে আগ্রহী বলে খবর বেরিয়েছে। তবে জুলিয়ানি ও বোল্টন দু’জনই বিতর্কিত। তাদের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব করার আগেই বিভিন্ন মহল থেকে উভয়ের ব্যাপারে প্রবল আপত্তি উঠেছে।

খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে ভাবনা-চিন্তা বিনিময় ও পরামর্শ নেয়া হয়। ট্রাম্পের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আরও সাক্ষাৎ করেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার, অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল জ্যাক কেইন, অ্যাডমিরাল মাইক রজার্স ও কেন ব্ল্যাকওয়েল।

সাউথ ক্যারোলিনায় ট্রাম্পের এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় হলে বিবেচিত হচ্ছেন। তার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদও ভাবা হচ্ছে। রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ের সময় ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিওকে সমর্থন দিয়েছিলেন হলে।

একসময় তিনি ট্রাম্পের সমালোচকও ছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে সমর্থন দেন হলে। নির্বাচনে ট্রাম্পকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়ে দেন তিনি। ট্রাম্পের মনোনয়ন নিয়ে রিপাবলিকান দলে যে বিভাজন তৈরি হয়, তা নিরসনের জন্য ট্রাম্প কয়েকজন সমালোচককেও মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে যাচ্ছেন। আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে দলে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে।



মন্তব্য চালু নেই