ভোটের সঙ্গে মিয়ানমারের ভাগ্য গণনা

অং সান সু চি আর মিয়ানমারের ভাগ্য নির্ধারণের দিনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে চলছে ভোট গণনা, যে ফল দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আন্তর্জাতিক মহলও।
সিকি শতাব্দি পর রোববার প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে সব দলের অংশগ্রহণে এই সাধারণ নির্বাচন হয়। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয় ভোটগ্রহণ।
প্রায় তিন কোটি ভোটারের মধ্যে ৮০ শতাংশের মত ভোট বাক্সে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
রোববার বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষেই শুরু হয়েছে গণনা। তবে ভোটের স্পষ্ট চিত্র পেতে সোমবার বিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে ইউনিয়ন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
তবে অর্ধ শতাব্দির সামরিক কর্তৃত্বের অবসানের স্বপ্নে বিভোর সু চি’র শিবিরে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিজয় উদযাপনের প্রস্তুতি। তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিই (এনএলডি) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পাবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
দল জয় পেলেও বিদেশিকে বিয়ে করায় বর্তমান আইন অনুযায়ী মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হওয়া হচ্ছে না সু চির। ৪৪০ আসনের ‘পিথু হালতাউয়ের’ (পার্লামেন্ট) ১১০টি আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকায় সংবিধান সংশোধন করাও হবে অনেক দূরের পথ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে এনএলডিপিকে ৬৭ শতাংশ আসনে জয়ী হতে হবে।
অবশ্য শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চি বলে রেখেছেন, দল জিতলে প্রেসিডেন্টের চেয়েও বড় কিছু হবেন তিনি। আর বর্তমান সেনা নিয়ন্ত্রিত সরকারের প্রেসিডেন্ট থিয়েন শিয়েন আশ্বাস দিয়েছেন, ফলাফল যাই হোক, তাকে ‘সম্মান জানানো’ হবে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে গৃহবন্দি সু চি ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পেলে এনএলডির জনপ্রিয়তা শীর্ষে উঠে আসে। ২০১২ সালের উপ-নির্বাচনে ৪৫টি আসনের মধ্যে ৪৩টিতে জয়ী হয়ে সংসদে প্রধান বিরোধী দল হয় তার দল।
এর আগে ২০১০ সালের ৭ নভেম্বর পার্লামেন্ট নির্বাচন হলেও তাতে অংশ নেয়নি এনএলডি। বর্তমানে সরকারে থাকা ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেমোক্রেটিক পার্টি (ইউএসডিপি) তখন থেকেই ক্ষমতায়।
মন্তব্য চালু নেই