সম্পর্কের অন্তরঙ্গতায় বড় বাধা অপরিচ্ছন্নতা

এখনকার ছেলে-মেয়েরা নিজেদের দেহের গ্রুমিংয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। তারা প্রায় প্রত্যেকেই জানে যে, তাদের সুসজ্জিত ও প্রেজেন্টেবল হতে হবে। তাই সাজগোজ ও জামা-কাপড়ের ব্যাপারে তাদের উৎসাহের অন্ত নেই। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই কোথায় যেন একটা কমতি থেকেই যায়।

অধিকাংশ মেয়েরা যেমন পরিষ্কার পরিচ্ছনতার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন। আবার এমন অনেকেই আছেন যারা নিজেদের এই ব্যাপারগুলো বোঝেনই না। পাশাপাশি ছেলেরাও এখন আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন। এরপরও কিছু কিছু অপরিচ্ছন্ন অভ্যাসের কারণে কোন না কোন দিক থেকে তারা পিছিয়ে যায়।

অনেক পুরুষ দেখা যায় দাড়ি না কামিয়েই বেরিয়ে পড়েন। আগের দিনের ঘেমে যাওয়া জামাটি আবার গায়ে জড়িয়ে নেন। দিনের শেষে যখন সঙ্গীর সাথে ঘনিষ্ট হন তখনই ওই খোঁচা খোঁচা দাড়িই পিঠে, গলায়, ঘাড়ে ঘষা লাগবে। সঙ্গিনী বেচারি এই অপরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে কিছু বলতেও পারবে না। আবার খড়খড়ে দাড়ির ঘষাতে সে অস্থির হয়ে পড়বে।

নারীদের মধ্যেও এমন অনেকে আছেন, যারা সারাদিন বাসায় বা বাইরে কাজ করে ক্লান্ত দিন শেষে অলসতার কারণে ঠিকভাবে দেহও পরিষ্কার করেন না। শীতের দিনে তো ভয়ে অনেকে ২/৩ দিন গোসল না করেই দিন পার করে দেন। কিন্তু একবার ভাবুন তো এই কাজ করে আপনি কতটা পরিষ্কার থাকছেন?

অপরিচ্ছন্নতা শুধু যে অন্তরঙ্গতায় বাঁধা দেয় তা নয়, এই বিষয়টি আপনার দেহের অনেক ক্ষতিও করে। দেহের বিশেষ জায়গাগুলো সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন না করলে তা অনেক সময় বড় কোন অসুখের কারণ হতে পারে। প্রত্যেকেরই রুচিবোধ থাকা দরকার। অনেক বাজে অভ্যাস আছে মানুষের যা অন্যদের সামনে করা উচিত না। যেমন, ব্রাশ করা, থুথু ফেলা, নাক খোঁচানো ইত্যাদি। সেটা বুঝতে হবে। আপনার এমন ধরনের কাজ আপনার সঙ্গীও খুব অপছন্দ করতে পারেন। পরিচ্ছন্নতা নিজের জন্য তো বটেই, ভালোবাসার সঙ্গীর জন্যও ভাবতে হবে। সুস্থ ও সুন্দর সম্পর্কের জন্য ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা খুব জরুরি।

যে কোন পরিস্থিতিতে যেভাবেই থাকুন না কেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিজেকে তো বটেই আশেপাশের সকলকে উজ্জীবিত করে তোলে। তাই নারী ও পুরুষ সকলেরই উচিত দেহের পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সচেতন হওয়া। যেকোন সম্পর্ক তা হোক প্রেম অথবা দাম্পত্য, সবার প্রথমে একে অপরকে আকর্ষণ করে থাকে পরিচ্ছন্নতা দিয়েই। বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েরই উচিত নিজেদের পরিচ্ছন্ন রাখা।



মন্তব্য চালু নেই