ভুলে শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা, নিহত ৫২
নাইজেরিয়ার সরকারি বাহিনীর এক বিমান হামলায় শরণার্থী শিবিরে থাকা ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক। নাইজেরিয়া-ক্যামেরুন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভুলে এই বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়। এই হামলায় রেডক্রসের ছয়জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে দাবি সংস্থাটির।
নাইজেরিয়া-ক্যামেরুন সীমান্ত এলাকায় নাইজেরিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম। বোকো হারামের হামলার ভয়ে দেশটির বোর্নো প্রদেশের উত্তরপূর্বের শহর র্যানে ওই শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু মানুষ। অন্যদিকে সরকারের কাছে তথ্য ছিল ওই এলাকায় জঙ্গিরা জড়ো হচ্ছে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিমান বাহিনীকে আক্রমণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লাকি ইরাবো বলেন, বোর্নোর কোনো এক জায়গায় বোকো হারাম জঙ্গিরা জড়ো হচ্ছে বলে সকালে তার কাছে তথ্য আসে। তিনি বিমান বাহিনীকে সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। তারা বিমান আক্রমণ চালায়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ভুল জায়গায় বিমান হামলা চালানো হয়।
হতাহতের এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এমএসএফ বিপুল সংখ্যক হতাহতের বিষয় নিশ্চিত করেছে। সহায়তা বাড়ানোর জন্য তারা পার্শ্ববর্তী দেশে তাদের অন্যান্য দলকে প্রস্তুত রেখেছে। অন্তত ছয়জন রেডক্রস কর্মী নিহতের খবর জানিয়েছে সংস্থাটির মুখপাত্র আলেক্সান্দর মাতিযেভিক।
তিনি বলেছেন, নিহত ছয়জন রেডক্রস সদস্য এবং আহত আরো ১৩ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক। অন্তত ২৫ হাজার উদ্বাস্তুর খাবারের সংস্থান করতে তারা ওই দিন সকালেই র্যান শহরে এসেছিলেন । ওই সব খাবার অন্তত পাঁচ সপ্তাহের জন্যে তাদের প্রয়োজন মেটাত। এই মুহুর্তে অন্যান্য ত্রাণ সংস্থার সহায়তায় জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
দেশটির সেনাবাহিনী দুঃখ প্রকাশ করে জানায়, ভুল বশত হামলায় বেসামরিক জনগণের এতটা ক্ষতি এর আগে কখনো হয়নি।
দেশটির সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছে, সেখানকার প্রশাসন বোর্নো প্রদেশে সবধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য চালু নেই