পরকীয়ায় মজেছিলেন রাজ কাপুর, ঘর ছাড়তে হয়েছিল স্ত্রীকে!

প্রথমে দাউদ ইব্রাইম, এরপর নিজের বাবা। নিজের আত্মজীবনীতে কাউকেই রেয়াত করেননি ঋষি কাপুর। দাউদের সঙ্গে দেখা করার অভিজ্ঞতা যেমন নিজের বইতে লিখেছেন, তেমনই খুল্লম খুল্লা বাবা রাজ কাপুরের চরিত্র নিয়ে।

পরিচালক-অভিনেতা রাজ কাপুর সম্পর্কে বহু কথা বলিউডের ঘোরাফেরা করে। নারীদের প্রতি তার আসক্তি, মাদকের প্রতি তার ভালবাসা নিয়ে বহু কথাই চালু রয়েছে। বইতে সে সব কথাই খোলসা করেছেন ঋষি।

নিজের বইতে রাজ কাপুর এবং নার্গিসের সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন ঋষি। কিন্তু এও লিখেছেন এক মহিলায় সন্তুষ্ট থাকতে পারতেন না রাজ। অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠতা

ছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন। এতেই থেমে নেই বিষয়টি। অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা অবশ্য এ সম্পর্ককে অস্বীকারই করতেন। তার এই মনোভাব না-পছন্দ ঋষির।

কিন্তু এই যে সিনিয়র কাপুরের এত মহিলা সঙ্গী, রাজ কাপুরের স্ত্রীর জীবন কেমন ছিল? ঋষি কাপুর জানিয়েছেন, অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে রাজ কাপুরের যখন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল, তখন তার স্ত্রী ছোট চিন্টুকে(ঋষি কাপুর) নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। মেরিন ড্রাইভের নটরাজ হোটেলে ছিলেন তিনি। আবার স্বামীর সঙ্গে প্রেমিকার সম্পর্ক ভাঙলে তবেই বাড়ি ফেরেন।

মহিলাদের পাশাপাশি মদেও তীব্র আসক্তি ছিল রাজ কাপুরের। দেশ-বিদেশের দারুণ সব মদ পানে আগ্রহ ছিল তাঁর। ছেলেদের সঙ্গে বসে যখন তিনি পান করা শুরু করেন, তখন ঋষিরা দেখেন, বাবা লন্ডন থেকে আসা জনি ওয়াকার ছাড়া কিছু ছুঁয়েও দেখেন না। তবে ছেলেদের জন্য বরাদ্দ ছিল স্থানীয় হুইস্কি। তাঁর মৃত্যুর পর আলমারিতে মেলে না খোলা অসংখ্য সুরার বোতল।

কিন্তু এতকিছুর পরেও নিজের বাবার প্রতি শ্রদ্ধার রেখেছেন ঋষি। জানিয়েছেন প্রথম জীবনে বাবাকে ভয় পেলেও পরবর্তী সময়ে তার নিজের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়েছে। বাবার মধ্যেই নিজের গুরুকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে তিনটি ছবিতে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে ধন্য মনে করেন ঋষি। সংবাদ প্রতিদিন



মন্তব্য চালু নেই