ভাত, মুরগিতেই ক্যামেরনের শেষ ভোজ

১৯০ বছরের শাসন শেষে ১৯৪৭ সালে ভারত ছেড়ে গিয়েছিল ব্রিটিশরা। তবে এখানকার খাবারের স্বাদটা সম্ভবত আজো ভুলতে পারেনি তারা। আর তাই বিদায় বেলায় ভারতীয় খাবারেই মজেছিলেন সদ্য বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে তার শেষ ভোজটিতে ছিল ভারতের সুস্বাদু সব খাবার।

বুধবার রাতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের ওই খাবারের তালিকায় ছিল, সাদা ভাত, নান রুটি, হায়দরাবাদি জাফরানি মুরগির মাংস, কাশ্মীরি রোগান জোশ (ভেড়ার মাংসের এক ধরনের ভুনা) ও সমুচা।

ক্যামেরন বরাবরই ভারতীয় খাবারের ভক্ত। ২০১৩ সালে ভারতে এক বাণিজ্যিক সফরে এসে হিন্দুস্তান টাইমসের এক স্বাক্ষাৎকারে মসলাদার ভারতীয় প্রিয় খাবার পছন্দের কথা জানিয়েছিলেন ক্যামেরন। তিনি ব্রিটিশ কারি অ্যাওয়ার্ডের একজন গেস্টও ছিলেন। তাই বিদায়ী দিনেও তা দিয়েই নৈশভোজ সারলেন ক্যামেরন দম্পতি।

ডাউনিং স্ট্রিটে রাতের শেষ খাবারটা আনা হয়েছিল ওয়েস্টমিনস্টারের জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ ‘কেনিংটন তন্দুরি’ থেকে। ক্যামেরনের ইচ্ছামতো আগেই খাবারের একটা লম্বা তালিকা পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল এই রেস্তোরাঁয়। কেনিংটন তন্দুরিও হুবহু তাই পাঠিয়ে দেয় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে।

রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ড. কাওসার হক ভারতের গণমাধ্যম পিটিআইকে জানান, ক্যামেরন ও তার পরিবারের জন্য পাঠানো খাবারের মধ্যে হায়দরাবাদি জাফরানি মুরগির মাংস, কাশ্মীরি রোগান জোশ, নাশেলি গোশত, ভেড়া ও মুরগির মাংসের মিক্সড গ্রিল, চিকেন ঝালফ্রাই, শাক আলু, শাক পনির, পলক গোশত, ভেজিটেবল সমুচা, নানরুটি ও ভাত ছিল।

যুক্তরাজ্যের ইইউতে না থাকার বিষয়ে গণভোটের রায়ের পর ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ইইউতে থাকার পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আর এর জন্যই তার পদত্যাগ। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী অক্টোবরে ক্যামেরনের পদত্যাগের কথা ছিল। কিন্তু দলের নেতৃত্বের নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুত হওয়ায় ক্যামেরন পূর্বঘোষিত পদত্যাগের সময়সীমা কমিয়ে আনেন এবং পদত্যাগের ঘোষণা দেন।



মন্তব্য চালু নেই