ফের অনার কিলিং

ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেল পাকিস্তানী কিশোরী

পাকিস্তানের কুখ্যাত অনার কিলিংয়ের হাত থেকে অল্পের জন্য জানে বেঁচে গেছে পাঞ্জাবের এক কিশোরী। নিজের পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করায় গুলি করার পর তাকে জলাশয়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল তার পরিবার। কিন্তু ভাগ্রক্রমে সে বেঁচে যায়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।

মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ‘অনার কিলিং ’ বা পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে করাচিতে এক নারীকে পাথর ছুড়ে হত্যা করেছিল তার স্বজনরা। এ ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।

স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে জানান, ১৮ বছরের সাবা মাকসুদকে তার বাবা, চাচা, ভাই এবং এক চাচী মিলে হত্যার চেষ্টা চালান। এটি পাঞ্জাবের হাফিজাবাদ শহরের ঘটনা।

নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করার অপরাধে সাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরিবারের অমতে প্রতিবেশী মোহাম্মদ কায়সারকে বিয়ে করেছিল সে। এ ঘটনাকে নিজেদের সম্মানের বিরুদ্ধে বিরাট আঘাত বলে ধরে নেয় তার পরিবার এবং তাকে খুন করার ষড়যন্ত্র করে। বিয়ের পাঁচ দিন পর সাবাকে তার শ্বশুড়বাড়ি থেকে ডেকে নেয় তার বাড়ির লোকজন।এরপর হত্যার জন্য তার মাথা লক্ষ্য করে গুলি করেন তার বাবা। এতে সে সংজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। েএবার তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হন তার বাবা-চাচারা। তখন বস্তায় ভরে সাবাকে এলাকার এক জলাশয়ে ছুড়ে ফেলে দেন তার স্বজনরা। কিন্তু পানিতে পরার পরই হুঁস ফিরে পায় সাবা এবং দুই পথচারীর সহায়তায় বস্তার মুখ খুলে বেরিয়ে আসে সে।



মন্তব্য চালু নেই