বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারে বেরিয়ে মহাফ্যাসাদ

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘর ছেড়েছিলেন কীসের নেশায়, তা বলতে গিয়ে থতমত খাচ্ছেন। ‘ইসলাম’ কাকে বলে জানেনই না। ‘আইএসআইএস’-এর নামই শোনেননি। এমন এক মেয়েকেই শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা হল ইসলামিক স্টেট-এর কবল থেকে। তাঁর কথামতো, তিনি নাকি ইরাকের চরমপন্থীদের সঙ্গে যোগ দিতে চেয়েছিলেন।

সুইডেনের মেরিলিন নাভালাইনেন এখনও কৈশোরের গণ্ডি ছাড়াননি। বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়েছেন ইরাকের ‘সংগ্রামী’ মানুষের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৪-য় তাঁর বয়ফ্রেন্ড তাঁকে প্রস্তাব দেন বাড়ি থেকে পালানোর। তার আগে তাঁরা দু’জনে বিস্তর ‘আইসিস’-ভিডিও দেখেছেন। সেই সব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বয়ফ্রেন্ড তাঁকে আইসিস-এ যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আর মেরিলিনও ‘নো প্রবলেম’ বলে ঘর ছাড়েন।

২০১৫-এ তাঁরা ট্রেনে চড়ে তুরস্কে প্রবেশ করেন। সেখান থেকে বাসে চড়ে সিরিয়া। তার পরে তাঁরা ইসলামিক স্টেট-এর বাস ধরেন এবং জঙ্গি-নিয়ন্ত্রিত শহর মসুল-এ পৌঁছন। সেখানে মেরিলিন যা দেখেন, তার সঙ্গে জঙ্গিদের হাতে বন্দি মেয়েদের বর্ণনা হুবহু মিলে যায়। খাদ্য-পানীয়হীন, বিদ্যুৎহীন অবস্থাতেও তাঁদের কাটাতে হয়েছে সেই শহরে।

এমতাবস্থায় তাঁর হাতে আসে একটি মোবাইল ফোন। সেটি হাতে পেয়েই মেরিলিন তাঁর মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সুইডিশ সরকারের তরফে যোগাযোগ করা হয় কুর্দ সরকারের সঙ্গে। কুর্দ বাহিনীই তাঁকে উদ্ধার করে আনে।
তাঁর এই অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনি তিনি সম্প্রতি খোলাখুলি জানালেন একটি কুর্দ টিভি চ্যানেলে।



মন্তব্য চালু নেই