বড়দিনের নিরাপত্তায় ফ্রান্সের রাস্তায় লক্ষাধিক পুলিশ

বড়দিনের উৎসব যাতে নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে ফ্রান্সের নাগরিকরা এজন্যে দেশটির রাস্তায় রাস্তায় কড়া পুলিশী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে জার্মানির বার্লিনে ক্রিসমাস বাজারে তিউনিশিয়ার নাগরিক আনিস আমরি ট্রাক নিয়ে আক্রমণ করলে ১২ জন নিহত হয় এবং অর্ধশত মানুষ আহত হয়। এরই প্রেক্ষাপটে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস সহ বড় বড় শহরগুলোতে কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৯১ হাজার পুলিশ, মিলিটারি পুলিশ, সেনা সদস্য মিলে ১ লাখ ২০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী রাস্তায় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে সন্ত্রাস বিরোধী তৎপরতা রুখে দিতে টহল দিচ্ছে।

ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো লি রোউক্স বলেছেন, বড় দিনের উৎসব নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে যাতে নাগরিকরা পালন করতে পারে সে জন্যেই বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সন্ত্রাসীদের হুমকির প্রেক্ষিতে এর আগে এত কঠিন নিরাপত্তা আর নেওয়া হয়নি। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো গ্যারি ডি লিয়ন রেল স্টেশন পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, বড় দিন ও পরের দিন এ স্টেশনে অনেক মানুষ যাওয়া আসা করবে, তাই এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখতে এসেছি।

রেল স্টেশন ছাড়াও চার্চ কিংবা জনসমাগম হয় এমন সব স্থানে নিরাপত্তা ছাড়াও প্রয়োজনে তল্লাশী করা হচ্ছে। গত গ্রীষ্মে ফ্রান্সের নিস শহর ও আরেকটি চার্চে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। তাই এবার বড়দিনের উৎসবে ফ্রান্সের চার্চগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ফ্রান্সের ৪৫ হাজার চার্চে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ২ হাজার ৪’শ চার্চে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্যারিসে সপ্তাহ জুড়ে ৫’শ ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং এসব অনুষ্ঠানে রয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমনকি যাজকদের নিরাপত্তা নিয়ে ধর্মীয় অনুসারীদের পরামর্শ দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো সন্দেহজনক আচরণ দেখলে সাথে সাথে পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া কোনো কোনো চার্চে স্বেচ্ছাসেবকরা বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা তদারকি করছেন। চার্চের আশে পাশে কোনো গাড়ি রাখলেই তা তল্লাশী করা হচ্ছে। কান শহরের মেয়র বড়দিন উপলক্ষে এই বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। দি লোকাল



মন্তব্য চালু নেই