ব্রেক্সিট : ২৯ মার্চের পর যা হবে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ২৯ মার্চ থেকে ব্রেক্সিট (ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়া) প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে যাচ্ছেন। সে হিসেব ওই দিন থেকেই শুরু হবে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া এবং লিসবন চুক্তির আর্টিকেল-ফিফটির বাস্তবায়ন। ইউরোপের ২৮ জাতির জোট ইইউ থেকে কোনো সদস্য বেরিয়ে যেতে চাইলে তা কীভাবে করা যায়, তারই দিকনির্দেশনা রয়েছে এই আর্টিকেল-ফিফটিতে।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইইউকে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া শুরুর অনুরোধ জানানোর পর যা হবে, তারই একটি সূচি দিয়েছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে-

২৯ মার্চ, ২০১৭- আর্টিকেল ফিফটির বাস্তবায়নে কাজ শুরু।

এপ্রিল- যুক্তরাজ্যের সঙ্গে দর কষাকষির জন্য ইউরোপীয় কমিশনকে যেন আদেশ দেওয়া হয় সেজন্য ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক যুক্তরাজ্য ছাড়া ইইউ’র ২৭টি দেশের সম্মেলনের আহ্বান জানাবেন।

সম্মেলনের পর- কমিশন ইইউ নেতাদের কাছ থেকে আদেশ পাওয়ার পর আলোচনার একটি গাইড লাইন প্রকাশ করবে। ইইউ চাইলে এর সমান্তরালে ভবিষ্যতে ইইউ-যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কোনো প্রস্তাব রাখতে পারে।

এপ্রিল/মে-২০১৭- আলোচনা শুরু।

২৩ এপ্রিল ও ৭ মে – ফরাসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

২৪ সেপ্টেম্বর -জার্মানির পার্লামেন্ট নির্বাচন।

২০১৭ সালের শরৎকাল- যুক্তরাজ্য সরকার ইইউ থেকে বের হয়ে যেতে নতুন করে আইন প্রণয়ন করবেন এবং বিদ্যমান ইইউ আইনকে ব্রিটিশ আইনের মধ্যে অর্ন্তভূক্ত করা হবে। এর জন্য যে আইনটি পাশ হবে তাকে বলা হচ্ছে গ্রেট রিপিল বিল।

২০১৮ সালের অক্টোবর- আলোচনা শেষ হয়ে যাবে। তবে ইইউর ২৭টি দেশের অনুমতি সাপেক্ষে আর্টিকেল ফিফটি নিয়ে আলোচনার মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।

২০১৮ সালের অক্টোবর এবং ২০১৯ সালের মার্চ – ব্রিটিশ পার্লামেন্ট, ইউরোপীয় কাউন্সিল এবং ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট যে কোনো চুক্তির বিষয়ে ভোট দিতে পারবে।

২০১৯ সালের মার্চ- আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিদায়।



মন্তব্য চালু নেই