বেশকিছু স্থানে মারপিট হলেও পরিস্থিতি সুষ্ঠু

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর এলেও পরিস্থিতি সুষ্ঠু রয়েছে বলেই মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলছেন, নিশ্চয়ই, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে। তবে, বেশ কিছু জায়গায় অবশ্য মারপিট হয়েছে। অনেক প্রার্থী আহত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশ আছে।

রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় অপেক্ষামান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন কাজী রকিব।

তিনি বলেন, সবার কাছে অনুরোধ করবো, যে সমস্ত জায়গায় ভালো পরিবেশ আছে তাদের ফলো করুন। আপনাদের এলাকার পরিরেশ উন্নত করুন। আরেকজনের ক্ষতি করার কোনো কারণ নেই। সব ক্ষেত্রে আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে। কেউ অন্যায়ভাবে জিতলে তার বিরুদ্ধে কোর্টে আপিল করা যাবে।

বিএনপির অভিযোগ নির্বাচনী পরিবেশের আগের চেয়ে অবনতি হয়েছে- এ বিষয়ে মতামত জানতে চাওয়া হলে সিইসি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত নির্বাচনের পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি। আমরা বেশ কয়েকজন রিটার্নিং অফিসার ও ওসিকে প্রত্যাহ্যার করেছি। ইতোমধ্যে অনেক জায়গায় ম্যাজিস্ট্রেট ফাইন করছেন, শাস্তি দিচ্ছেন। যারা ভঙ্গ (আচরণ বিধি) করছেন, তারা দেখছেন যে, ভঙ্গ করে কোনো লাভ হচ্ছে না। শাস্তি হচ্ছে দেখে তারা আচরণ বিধি ভঙ্গ থেকে বিরত থাকছেন। আমরা আশা করবো শেষ দিনে পরিস্থিতি আরো উন্নত হবে। এরপরেই নির্বাচন পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাড়াবো। সেই সঙ্গে যোগ হবে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। আর আমাদের শান্তি–শৃঙ্খলা বাহিনী তো আছেই।

আওয়ামী লীগের ১০ পর্যবেক্ষক সংস্থার বিষয়ে আপত্তির প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমার জানা মতে, পর্যবেক্ষকরা কোনো দলের নয়। আমাদের পর্যবেক্ষকরাও কোনো দলের নয়, তারা নিরপেক্ষ। তারা কোনো দলের হলে পর্যবেক্ষক হতে পারতো না। তবে আমরা কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এগুলো কমিশনে খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।

এরআগে বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিইসি সঙ্গে দেখা করে।

তফসিল ঘোষণার পরে নির্বাচনের যে পরিস্থিতি ছিল তা থেকে নির্বাচনী পরিবেশের ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ করে প্রতিনিধি দলটি। সেই সঙ্গে তাদের প্রার্থী ও কর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।



মন্তব্য চালু নেই