বৃত্তি পাওয়ায় স্ত্রীকে তালাক!

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেয়েছিলেন এক সৌদি নারী। স্ত্রীর এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি হওয়ার কথা যে কোনো স্বামীর। কিন্তু এ ঘটনায় প্রচণ্ড রেগে যান তার স্বামী। এখানেই শেষ নয়, তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় জিজান প্রদেশের এক গ্রামে সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি দ্বিতীয়বার বিয়েও করেছেন। প্রথম স্ত্রী তার সঙ্গে একটি মীমাংসায় আসতে চাইলেও তিনি তাতে রাজি হচ্ছেন না বলে জানিয়েছে স্থানীয় আল আইন পত্রিকা। ওই দম্পতির একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

উল্লেখ্য, পশ্চিম ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মোটা অঙ্কের বৃত্তি দিয়ে থাকে সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে সরকারি বৃত্তি পাওয়ার অপরাধে স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ঘটনায় সৌদি সোস্যাল মিডিয়া দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

স্বামীর পক্ষের লোকজন বলছেন, যে স্ত্রী বছরের পর বছর ধরে পড়াশোনার জন্য সংসার ফেলে বিদেশ থাকবেন তাকে তালাক দেয়ার অধিকার রয়েছে ওই স্বামীর। তাদের আরো যুক্তি হল, স্ত্রীর উচিত ছিল বিদেশে যাওয়ার সুযোগ ছেড়ে দিয়ে স্বামীর সঙ্গে থাকা। তারা আরো বলছেন, ওই সৌদি নারী স্বার্থপরের মত স্বামী সন্তানকে বাদ দিয়ে কেবল নিজের ক্যারিয়ারের চিন্তা করেছেন।

অন্যদিকে স্ত্রীর পক্ষের লোকজন বলেন, স্বামী কেবল নিজের দিকটাই দেখেছেন। তার উচিত ছিল স্ত্রীর সুন্দর ভবিষ্যতের চিন্তা করে উচ্চশিক্ষায় তাকে সহায়তা করা। কেউ কেউ আরো বলেছেন, আসলে তার স্বামীর ভয হচ্ছিল যে, বিদেশে পড়াশোনার পর সামাজিক মর্যাদায় স্ত্রী তাকে ছাড়িয়ে যাবেন এবং এই অশঙ্কা থেকেই তিনি তাকে তালাক দিয়েছেন।

উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের হার সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি। এই হার কমিয়ে আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি সরকার।



মন্তব্য চালু নেই