বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিও ট্রাম্পের বিপক্ষে

বিশ্বজুড়ে গর্ভপাত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন ও সরকারি অর্থায়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি বিল গেটস।

বিল গেটস ও তাঁর স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস বলেন, “বিশ্বের টুঁটি চেপে ধরা এই বিধান’ লাখো নারী ও কিশোরীর জীবন বিপন্ন করে তুলবে এবং শূন্যস্থান পূরণ হবে না, এমনকি আমাদের ফাউন্ডেশনের (বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন) কাজের শূন্যস্থান পূরণ করা সম্ভব নয়।”

উন্নয়নশীল দেশগুলোর পরিবার পরিকল্পনায় অর্থায়ন বাতিল করে প্রণয়ন করা এই নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প এরই মধ্যে সই করেছেন।

বিল গেটস বলেন, ‘আমরা যে কাজ করি, তাতে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বর দাতা। মানবহিতৈষীমূলক (বেসরকারি) কাজ সরকারি সহায়তার বিকল্প হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘সরকার এ ধরনের কাজ (গর্ভপাতে অর্থায়ন) থেকে বেরিয়ে এলে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, তা হওয়া ঠিক হবে না। এর সত্যিকার কোনো বিকল্প নেই।’

গত ডিসেম্বরে বিল গেটস বলেছিলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর ভালো লেগেছে। তাঁরা পোলিও, এইডসের ভ্যাকসিন গবেষণায় গেটস ফাউন্ডেশন ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন।

তবে মাইক্রোসফটের এই সহপ্রতিষ্ঠাতা বুঝতে পারেননি ট্রাম্প গর্ভপাত অর্থায়নে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন।

এ বিষয়ে মেলিন্ডা গেটস বলেন, এই আদেশে বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ নারী ও কিশোরীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, ‘এতে মায়ের জীবন বাঁচে, শিশুর জীবন বাঁচে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে এর পক্ষে প্রচুর সমর্থন রয়েছে।’

ট্রাম্পের এই আদেশ সাবেক বারাক ওবামার সিদ্ধান্তের একদম বিপরীতে। ২০০৯ সালে ওবামা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন।

মেক্সিকো সিটি পলিসি নামে পরিচিত এই আদেশ ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সম্মেলনে প্রকাশ পায়। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কোনো ক্লিনিক বা সংগঠনকে পরিবার পরিকল্পনার জন্য সরকার কোনো অর্থায়ন করবে না।

প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের প্রশাসনের সময় এই বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক নীতি ছিল। এটি বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান দল পুনর্বহাল করে।

নির্বাহী আদেশটি ‘কণ্ঠরোধী বিধান’ নামে পরিচিত। কারণ এর ফলে কোনো সংগঠনও গর্ভপাতের পক্ষে অর্থায়ন করতে পারবে না।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেন কেন্দ্রীয় আদালত।



মন্তব্য চালু নেই