‘বিধি লঙ্ঘনে ব্যক্তি বিশেষকে ছাড় নয়’

কোনো ব্যক্তি বিশেষের প্রতি খেয়াল না রেখে যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আচরণবিধি মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বিশেষকে ছাড় দেওয়া দেওয়া হবে না।’

চট্টগ্রাম সিটির একটি অভিজাত হোটেলে নিয়মবহির্ভূতভাবে নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে বৈঠক করায় তিন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

এ বিষয়ে ইসির মতামত জানতে চাইলে শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘আচরণবিধি পালন করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা সুন্দরভাবেই প্রতিদিন ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কোনো ব্যক্তি বিশেষের প্রতি খেয়াল না রেখে যারা আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে তাদের প্রতি সমানভাবে খেয়াল রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে শাহ নেওয়াজ জানান, আচরণবিধি অনুসারে মাইকিংয়ের একটা সময়সীমা রাখা হয়েছে। যেহেতেু এসএইচসি পরীক্ষার মধ্যে নির্বাচন করছি, সব মিলিয়ে পরীক্ষার্থীদের যাতে কম ক্ষতি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

তিনি আরও জানান, আগামী ১১ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রার্থীদের সঙ্গে ইসি বৈঠক করবে। এ ছাড়া ১২ এপ্রিল ঢাকা উত্তর সিটি ও ১৩ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রার্থীদের সঙ্গে ইসি বসবে। বৈঠকে প্রার্থীদের আচরণবিধিমেনে চলতেনির্দেশ ও অনুরোধ করা হবে। এ দিন সবার মতামত নেওয়া হবে।

তবে রবিবার বিকেলে ইসির উপ-সচিব সামসুল আলম জানিয়েছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১১ এপ্রিল, ১২ এপ্রিল চট্টগাম সিটি এবং ১৩ এপ্রিল দক্ষিণ সিটির প্রার্থীদের সঙ্গে সিইসি মতবিনিময় করবেন।

ঢাকার দুই সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তাও আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ইসি কাউকে ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন।

ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম বলেন, ‘প্রার্থীদের অবশ্যই আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেখানে বিধি লঙ্ঘন হবে সেখানে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে ব্যবস্থা নেবে।’

ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সরওয়ার মোর্শেদ বলেন, ‘কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে ইসি ছাড় দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে ১৭ জন বৈধ প্রার্থীকে আর্থিক জরিমনা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৫ জনকে বিধি লঙ্ঘনের কারণ মৌখিকভাবে জানাতে বলা হয়েছে।’



মন্তব্য চালু নেই