বাড়ছে ছিনতাই নির্বাক প্রশাসন
ছিনতাই-এর কবল থেকে আজও মুক্তি পায়নি সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সাভারের আশুলিয়া থানার বাইশ মাইল থেকে নবীনগর পর্যন্ত সন্ধ্যার পর ছিনতাই-এর আতঙ্কে চলাচল করা দায় হয়ে দাড়িয়েছে বর্তমানে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় যে সকল শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন তাদেরকে এই রাস্তা সবসময় ব্যাবহার করতে হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকাগুলো ছাড়াও নিরিবিলি, নবীনগরের জালালাবাদ মডেল টাউন ও নবরূপা এলাকায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকেন। বিশেষ করে গণস্বাস্থ সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির পরিমাণ তুলনামূলক বেশি, যাদের রাত ৮ কিংবা ৯ ঘটিকা পর্যন্ত গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ক্লাস কিংবা ওয়ার্ড প্র্যাক্টিসের জন্য থাকতে হয়।
বাইশ মাইল এলাকায় গত ২ মাসে এ পর্যন্ত ৮ থেকে ১০ টি ছিনতাই-এর ঘটনা ঘটেছে শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে। তাছাড়া এলাকার স্থানীয় লোকজনও প্রতিনিয়ত ব্যাপকভাবে ছিনতাই-এর স্বীকার হন। তারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ব্যাবস্থা গ্রহন করলেও রোধ করতে পারেনি ছিনতাইকারীদের।
এ নিয়ে সংবাদপ্ত্রগুলোতে পূর্বেও সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন প্রকার আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় নি। সম্প্রতি এমবিবিএস-এর দুই মেয়ে শিক্ষার্থী ছিনতাই এর কবলে পড়ে আহত হন। তাছাড়া গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (গবিসাস)-এর সহ-সভাপতি ওমর ফারুক সোহান পড়েন ছিনতাই-এর খপ্পড়ে।
শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা করছেন এখানে যে কোন সময়ে ধর্ষণের মত ঘৃণ্য ঘটনা ঘটতে পারে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের এই জনবহুল অংশে এ বিষয়ে নেই কোন প্রশাসনিক তোড়জোড়। হাইওয়ে পুলিশের টহল থাকলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ কিংবা র্যাব কোন ছিনতাইকারীকে আটক করতে পারে নি। দিতে পারেনি কোন প্রকার নির্ভরযোগ্য নিরাপত্তা।
যদিও বাইশ মাইল এলাকায় র্যাব-৪ এর ক্যাম্প রয়েছে যা ছিল পূর্বেও নিরিবিলি এলাকায় ছিল।
এ বিষয়ে র্যাব-৪ এর টহল অফিসার এস আই সুপ্রভাত জানান-“আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ নেই। তাই কোন পদক্ষেপও নেই। তবে আমাদের প্রতিদিনের টহলের সামনে কখনও এ ধরনের ঘটনা ঘটে নি। ঘটলে অবশ্যই ব্যাবস্থা নিতাম।”
মন্তব্য চালু নেই