বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা বিক্রি বন্ধ

জ্বালানী সঙ্কটে বন্ধ হতে বসেছে উত্তারাঞ্চলের কয়েক হাজার ইটভাটা

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা বিক্রি বন্ধ ও একই সাথে ভারতীয় কয়লা আমদানীও বন্ধ থাকায় জ্বালানী সঙ্কটে পড়েছে উত্তারাঞ্চলের কয়েক হাজার ইটভাটা। ইট পেড়ানোর ভরা মৌসুমে কয়লা না থাকায় বন্ধ হতে বসেছে এই ভাটা গুলো।

ইটভাটা মালিকেরা জানান, উত্তারাঞ্চলের ইটভাটা মালিকেরা বড়পুকুরিয়া খনির কয়লার উপর নির্ভশীল, এই কয়লা ভারতীয় কয়লা উপেক্ষা অনেক উন্নত। কিন্তু সেই খনিতেই এখন কয়লা না থাকায় বিপাকে পড়েছে ভাটা মালিকেরা।
ফুলবাড়ী এনএইচ ব্রিক্স এর মালিক অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি বলেন, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ইট পেড়ানোর ভরা মৌসুম এই ভরা মৌসুমে কয়লা না থাকায় এখন পর্যন্ত ইটপোড়ানো শুরু করা সম্ভাব হচ্ছে না। ভাটায় কাচা ইটের স্তুপ জমছে, এই ইট সময় মত পোড়ানো না হলে বড় রকমের ক্ষতির শিকার হবে ভাটা মালিকেরা, একই কথা বলেন আমিন ব্রিক্স এর মালিক রুহুল আমিনও। তারা বলেন ভাটা গুলো বন্ধ হয়ে গেলে এই পেশার সঙ্গে জড়িত কয়েক লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে এবং অর্থনীতির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামানের সাখে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চলতি সনের গত ১০মে হঠাৎ ভু-গর্ভে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় ১২০৫ রং কোল ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ করতে হয়, এর ৫ মাস পর ১২১২রং কোল ফেইজ তৈরী করে গত২০ অক্টোবর থেকে পুনরায় খনিতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে, এখন বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগওয়াট তাপ বিদুৎ কেন্দ্রের জন্য কয়লা মজুদ করে  আবারো কয়লা বিক্রি শুরু করা হবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ ভাগ থেকে কয়লা বিক্রি শুরু হতে পারে।

 

পার্বতীপুরের শিকলে বাঁধা মেরিনা এখন মুক্ত

দীর্ঘ ৬ মাস পর পার্বতীপুরের শিকল বাঁধা মেরিনা এখন মুক্ত। পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর গতকাল সোমবার পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ ছুটে যায় মেরিনার বাড়িতে।

শহরের নিউকলনী থেকে মেরিনাকে শিকল থেকে মুক্ত করার পর নিয়ে যাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। সেখানে ওই গৃহবধুকে তার ভাই রেল কর্মচারী আল-আমিনের হেফাজতে দেওয়া হয়।

এব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার (ওসি) একে এম লুৎফর রহমান বলেন, সংবাদ পড়ে তিনি গৃহবধুকে উদ্ধারের পদক্ষেপ গ্রহন করেন। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় মেরিনাকে শিকলে বন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করেন তিনি। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাহেনুল ইসলামের কার্যালয়ে নেওয়া হয় মেরিনাকে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার গৃহবধুর স্বামী আলী হোসেনের উপস্থিতিতে মেরিনাকে তার ভাই আল-আমিনের হেফাজতে চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন। মেরিনাকে প্রথমে উপজেলা হাসপাতাল পরে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

ফুলবাড়ীতে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক ছিনতাইয়ের ঘটনা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বৃদ্ধি পেয়েছে সড়ক পথে ছিনতাইয়ের ঘটনা। গত এক সপ্তাহের ব্যাবধানে ঘটেছে ৪টি মটর সাইকেল ও দু’টি চুরি।
জানা গেছে গত রোববার দিবাগত সন্ধা সাড়ে ৭টায়  ফুলবাড়ী-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার বর্ম্মচারী নামক স্থানে আবু সায়েম নামে এক ব্যাক্তির পথরোধ করে তাকে মার-পিট করে আহত করে তার মটর সাইকেলসহ টাকা পয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায়, বর্তমানে সে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। এর কয়েকদিন আগে গত ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফুলবাড়ী-মাদিলা সড়কের উপজেলার পাকড় ডাঙ্গা নামক স্থানে পথরোধ করে পরপর দু’টি মটর সাইকেল ছিনতাই করেছে। ঐ ঘটনায় এক গৃহবধুকে নির্যতনের ঘটনাও লোক মুখে রটেছে। এছাড়া গত বুধবার দিবাগত একই রাতে পৌর এলাকার সুজাপুর গ্রামে দু’টি মটর সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এই বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার ওসি এবিএম রেজাউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেক ঘটনার কোন অভিযোগ করছেনা ভুক্ত ভোগীরা তার মধ্যে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে পুলিশ অপরাধীদেরকে ধরতে মাঠে নেমেছে। সহকারী পুলিশ সুপার ফুলবাড়ী সার্কেল আবু তারেক বলেন, ঘটনার বিষয়ে পুলিশ অবগত আছে এবং আসামীদের আটক করতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে অহরহ সড়ক পথে চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী, তারা সন্ধ্যা হলেই আর কেউ বাড়ীর বাহিরে যাচ্ছেনা। এছাড়া দিন দুপুরেও ঘটছে বাড়ী চুরির ঘটনা তার মধ্যে গত শনিবার দিনের বেলা পৌর এলাকার মধ্য গৌরীপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার বাড়ীতে আসবাবপত্রসহ নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। এই কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পৌরবাসী।



মন্তব্য চালু নেই