বাবাকে দেওয়া বাংলাদেশের সম্মাননা ফিরিয়ে দেবেন হামিদ মীর

বিশিষ্ট পাকিস্তানি সাংবাদিক হামিদ মীর তার বাবাকে দেওয়া বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-সম্মাননা ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ডেইলি পাকিস্তানসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ সম্মাননার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানকে ধোঁকা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হামিদ মীর।

হামিদ মীরের বাবা অধ্যাপক ওয়ারিশ মীর। ১৯৭১ সালে যে ক’জন পাকিস্তানি বুদ্ধিজীবী বাংলাদেশে (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) সংঘটিত পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন, অধ্যাপক ওয়ারিশ মীর ছিলেন তাদের একজন। ২০১৩ সালে তার মুক্তিযুদ্ধকালীন এই ভূমিকার স্বীকৃতি দেয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। অধ্যাপক মীরকে বিদেশি সুহৃদদের জন্য ঘোষিত ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার জিও নিউজের ‘ক্যাপিটাল টক’ অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হামিদ মীর ওই অনুষ্ঠানে অভিযোগ করেন, ‘ওই পুরস্কার গ্রহণের সময় আমরা ভেবেছিলাম, শেখ হাসিনা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ওই সম্মাননা পুরস্কার দিচ্ছেন। কিন্তু এর পর থেকে তিনি শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপই করেছেন।’ হামিদ মীর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখতে চান না। বাংলাদেশ সরকার ওই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের ধোঁকা দিয়েছে’। উল্লেখ্য, হামিদ মীর জিও নিউজের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ওয়ারিশ মীরের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন হামিদ মীর। এছাড়াও বিপ্লবী কবি হাবীব জালিবের মেয়ে তাহিরা জালিব, প্রখ্যাত কবি ফয়েজ আহমদ ফয়েজের মেয়ে সেলিমা হাশমি, মালিক গুলাম জিলানির মেয়ে আসমা জাহাঙ্গীর এবং গাউস বক্স বিজেনজোর ছেলে হাসিল বক্স বিজেনজো সম্মাননা গ্রহণ করেন।

ওই সম্মাননা অনুষ্ঠানে হামিদ মীর বলেছিলেন, ‘আমরা জানি, আজ নামরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতি দেওয়া অনেককেই সম্মান জানাতে পারবো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘অনেকের নামই হয়তো আমরা জানি না। যারা নিঃশব্দে ওই যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন।’

২০১১ সাল থেকে ‘ফরেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান শুরু হয়।



মন্তব্য চালু নেই