বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা ভারতের!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোর চক্রান্ত করছে জামায়াতে ইসলামী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। পাশাপাশি হাসিনা সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানাবেন মোদি।
বৃহস্পতিবার ভারতের গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস-এর অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী ঢাকা থেকে তথ্য পেয়েছে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সমর্থনপুষ্ট জামায়াত সেনাবাহিনীতে কর্মরত মৌলিবাদী ধ্যানধারণার কিছু কর্মকর্তার মাধ্যমে হাসিনা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।
২০০৯ সালে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত জামায়াত নেতাদের বিচার শুরু করে। এরপর এ বিচারকে কেন্দ্র করে দলটি সহিংস হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে সরকারবিরোধী তৎপরতায় লস্কর-ই-তৈয়বাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আঁতাত রাখছে জামায়াত।
গত বছর দলীয় বিধিবিধান থেকে ধর্মীয় বিষয় বাদ দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় জামায়াতকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে নিষিদ্ধ করেন আদালত।
সূত্র জানায়, আগামী সপ্তাহে মোদি যখন আঞ্চলিক অবস্থা নিয়ে ওবামা ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, তখন হাসিনা সরকার ও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হুমকির বিষয়টি উপস্থাপন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভারত ও বাংলাদেশে আল-কায়েদার হুমকি ও দক্ষিণ এশিয়ায় সীমান্ত পার হয়ে আসা সন্ত্রাসীদের বিষয়েও মার্কিন কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন মোদি।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের চলমান সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন মোদি। শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে কী হুমকি রয়েছে, সেটিও তুলে ধরবেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই