প্রমাণ দিতে পারলে দেশ ছেড়েই যাবো

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যদি দেশে থাকতাম তাহলে জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতাম- মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে না পারায় এভাবেই আক্ষেপ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে তার ভূমিকা নিয়ে নানা আপত্তিকর তথ্য প্রচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার এ বিবৃতি দেন এরশাদ। এই তথ্যের প্রমাণ দিতে পারলে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন বলেও চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তিনি।

এদিনই চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি। দুপুর পৌনে ২টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি। সেখানে দলের নেতা জিএম কাদের, এমএ সাত্তার, আবুল কাশেম, সুনীল শুভ রায়, মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, ববি হাজ্জাজসহ কেন্দ্রীয় নেতারা তাকে স্বাগত জানান।

গত শনিবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন সফরে যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ। তার সফরসঙ্গী ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

বিবৃতিতে এরশাদ আরো বলেন, ‘আমি অত্যন্ত বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, কিছু কিছু মহল আমার বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমার ভূমিকা নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট এবং কল্পনাপ্রসূত তথ্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় সেনাবাহিনীতে থাকাকালে এরশাদ নাকি পাকিস্তান থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং কোনো এক কল্পিত আদালতের বিচারক ছিলেন- এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এরশাদ বলেন, ‘এই মহলটি কুখ্যাত গোয়েবলসের ফর্মুলা অনুসরণ করতে চায়।’

তিনি এ ধরনের জঘন্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মহলটির প্রতি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, ‘এই বানোয়াট তথ্যের যদি কেউ প্রমাণ দিতে পারে- তাহলে আমি রাজনীতি থেকে চির বিদায় নেব, এমনকি দেশ ছেড়েই চলে যাবো। আর যারা এ ধরনের মিথ্যাচার করছেন, তারা প্রমাণ দিতে না পারলে জাতির সামনে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।’



মন্তব্য চালু নেই