ফুল ব্যাবসায় আত্মতৃপ্তি
জমে উঠেছে নবীনগরের ফুল ব্যাবসা। সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের মূল ফটকের বিপরীত পার্শ্বে অবস্থিত দোকানগুলো।
বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে ফুলের রিং, তোড়া তৈরিতে ব্যাস্ত রয়েছে এসব ফুলের দোকানীরা।
ফুলগুলোর বেশিরভাগই আসে যশোরের গদখালী এলাকা থেকে। তবে নবীনগরের ফুল ব্যাবসায়ীরা ফুলগুলো সাধারণত শাহবাগ থেকে সংগ্রহ করে থাকে। লাল গোলাপ, রজনীগন্ধ্যা, ঝারভাড়া, গ্যালাডীওলাস ফুলগুলোর চাহিদা সাধারণত বেশি। তবে সাদা কিংবা হলুদ গোলাপের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমদানী না থাকা ও দাম বেশি হওয়ায় ফুলগুলো ক্রেতাদের কাছে পৌছাচ্ছে না।
তাছাড়া ফুল সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে এখানকার ফুল ব্যাবসায়ীরা। কেননা নবীনগরের সব ফুলের দোকানগুলো টিনের তৈরী। গরমে যার অবস্থা আরও খারাপ থাকে। ফুলগুলো নষ্ট হয় খুব দ্রুত। এ কারণে ব্যাবসা ভাল থাকা সত্ত্বেও তেমনটা সুবিধা করতে পারছে না ব্যাবসায়ীরা। তাই ফুল সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক দ্রব্য ব্যাবহারের কথা ভাবছেন ফুল বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে নবীনগরের ফুল বিক্রেতা মিজানুর রহমান জানান-“দোকানগুলো সরকারী তাও কোন সংস্কারের কাজ করা হয় না। যেটা ফুল সংরক্ষণের জন্য এখন আমাদের জন্য খুব দরকার।”
এবারের ফুলের বিক্রি সম্বন্ধে বলেন-“অন্যান্য যে কোনবারের চেয়ে এবারের ব্যাবসা খুব ভাল। তবে ফুলের আমদানীটা আরও বাড়ানো প্রয়োজন।”
মন্তব্য চালু নেই