ফাঁসি কার্যকর: প্রথমে সাকা পরে মুজাহিদ

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হবে রাত ১২ টার পর। এর পরই কার্যকর হবে মুজাহিদের ফাঁসি। রাত ১২টার আগে কারাকর্তৃপক্ষের ফাঁসি কার্যকরের প্রস্তুতি থাকলেও শেষ মুহূর্তে দুই অপরাধীর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখা করার অনুমতি দেয়া এবং দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলায় পুরো পক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।

জানা গেছে, দীর্ঘ এক ঘণ্টা ১৬ মিনিট ভেতরে থাকার পর রাত ১১টার পর সাকার পরিবারের সদস্যরা বের হওয়ার পর পরই সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়।তাছাড়া সব ধরনের প্রস্তুতি আগেই নেয়া রয়েছে।

সাকার পরিবারের সদস্যরা কারাগার থেকে বের হওয়ার পর ভেতরে ঢোকে মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা। আর এ কারনেই সাকার ফাঁসির পর মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সাধারণ এ ধরনের ক্ষেত্রে একটির পর আরেকটি ফাঁসি কার্যকর হয়ে থাকে।এর আগেও তাই দেখা গেছে।আজও তার ব্যতিক্রম হবে না।

এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মোহাম্মদ মারুফ হাসান জানান, ‘রাতেই ফাঁসির রায় কার্যকর হচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। আর এ কারণেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

তিনি বলেছেন, সাকা ও মুজাহিদের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের গ্রামের বাড়িতে দাফনের ব্যবস্থা করা হবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই দুই দণ্ডিতের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ফাঁসির নির্বাহী আদেশ কেন্দ্রীয় করাগারের দিকে পাঠানো হয়েছে। রাত সোয়া ১০টার দিকে আদেশটি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রওয়ানা হন।

এরই মধ্যে ফাঁসি কার্যকরের সময় সাধারণ যাদের থাকার কথা সেসব কর্মকর্তাদের সবাই এরই মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেছেন। তবে রাত সোয়া ১১টার দিকে আইজি প্রিজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বেরিয়ে যান।

এসময় সাকা চৌধুরীর সাথে শেষ দেখা করতে আসা তার পরিবারের সদস্যরাও বেরিয়ে যান।



মন্তব্য চালু নেই