‘প্রশাসনের প্রতি আস্থা নেই বলেই এফবিআইকে স্বাগত’

প্রশাসনের প্রতি জণগণ আর আস্থা রাখতে পারছে না বলেই দেশে এফবিআইয়ের আগমন ঘটেছে। উগ্রপন্থীদের এ জঘন্য হত্যাকাণ্ড তদন্তে এফবিআইয়ের সহযোগিতার প্রস্তাবকে দেশবাসী স্বাগত জানায়।

শুক্রবার সকালে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে যে স্থানে হত্যা করা হয়েছে তার অদূরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অবস্থান করলেও তারা যথাযথ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসন এ দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না। ইতোপূর্বে অধ্যাপক হুমায়ূন আজাদ, ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দার, মাওলান নুরুল ইসলাম ফারুকী, অধ্যাপক ইউনুস, অধ্যাপক আবু তাহের, অধ্যাপক একেএম শফিউল ইসলামসহ অনেকের হত্যার সঠিক তদন্ত ও বিচার হলে এ হত্যাকা- ঘটতো না।

এসময় তারা কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে রায় বাস্তবায়ন করতে হবে, এখনই সহিংস নাশকতা কঠোরভাবে দমন করতে হবে, জামায়াত-শিবিরসহ সকল সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নিষিদ্ধ ও তাদের অর্থের উৎস বাজেয়াপ্ত করতে হবে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধ করতে হবে, আন্দোলন সংগ্রামের নামে নাশকতা-সহিংসতা পরিহারে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

মানববন্ধনে সংগঠনের সভাপতি কমরেড অজয় রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নুর মোহাম্মদ তালুকদার, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বিচারপতি এবাদুল হক, অধ্যাপক এম এম আকাশ, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি।

মানববন্ধন শেষে একটি মৌনমিছিল নিয়ে তারা অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।



মন্তব্য চালু নেই