প্যান্টবিহীন ভ্রমণে ৬০ দেশের নাগরিক!

রোববার বিশ্বজুড়ে পলিত হলো ‘ওয়ার্ল্ড নো প্যান্টস সাবওয়ে রাইডস ডে’। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৬০ টি দেশে এ দিবসটি পালিত হয়েছে। এসব দেশের মানুষ এদিন কোনো প্যান্ট ছাড়াই মেট্রোরেলে চলাচল করেছেন। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও এদিনটি পালন করেছে তারা।

রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে কনকনে শীতের মধ্যেও মাটির নীচে মেট্রোয় সওয়ার হয়েছেন দেহের নিম্নাংশ উন্মুক্ত করা অসংখ্য অফিসযাত্রী।

মেট্রোযাত্রীরা আংশিক নগ্ন হয়ে গন্তব্যে পৌঁছলেন। এমন অদ্ভুত কাণ্ড স্বেচ্ছায় ঘটিয়েছেন কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। প্রাত্যহিক বিরস জীবনে খানিক হাস্যরস উদযাপন করাই দিনটি পালনের উদ্দেশ্য।

২০০২ সালের ১২ জানুয়ারি আমেরিকার নিউ ইয়র্ক শহরে অভিনব আন্দোলনে সামিল হন সাত পুরুষ সাবওয়ে যাত্রী। তারা সকলেই ‘ইমপ্রুভ এভরিহোয়্যার’ সংগঠনের সদস্য। মেট্রোর সাতটি ভিন্ন স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন তাঁরা। সকলের শরীরের ঊর্ধ্বাংশে রীতিমতো কেতাদুরস্ত শীত পোশাক থাকলেও নিম্নাংশে শুধুমাত্র অন্তর্বাস ছিল। তাঁদের দেখে চোখ কপালে ওঠে অন্য ট্রেনযাত্রীদের। সেখানকার সাতজনের কেউ কাউকে চেনেন না, এমনই ভাণ করেছিলেন তারা।

সহযাত্রীর প্রশ্নের উত্তরে তাদের একজন নির্বিকার মুখে জানিয়েছিলেন, বাড়ি থেকে প্যান্ট পরে বেরোতে স্রেফ ভুলে গিয়েছেন। আট নম্বর স্টেশনে ট্রেনে চাপেন এক ব্যক্তি, যিনি মাত্র এক ডলারের বিনিময়ে ট্রেনে প্যান্ট বিক্রি করেন।

প্যান্ট-হারাদের এই আন্দোলনে এর পর সামিল হয়েছেন বিশ্বের বেশ কিছু দেশের নানান শহরের অজস্র মানুষ। বেইজিং থেকে বার্লিন, মাদ্রিদ থেকে বেঙ্গালুরু সর্বত্র মেট্রোয় ওঠার পথে যেখানে ইচ্ছে যেচে প্যান্ট খুলে সভ্যতাকে মুক্তি দিয়েছেন তাঁরা।

কিন্তু কী উদ্দেশ্যে বিবস্ত্র হওয়ার এই হিড়িক? ইমপ্রুভ এভরিহোয়্যার-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে নয়, নিছক বোকা সেজে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট.সিও.ইউকে



মন্তব্য চালু নেই