পিয়ংইয়ংয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু?

গোপনে হয়তো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ইতোমধ্যেই নাগরিকদের পিয়ংইয়ং ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। এমন নির্দেশের পর দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যে, কিম যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর এ কারণেই সাধারণ নাগরিকদের ওই এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার কর্মকাণ্ডে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকার মধ্যে আরও বেশি সঙ্কটের শঙ্কা প্রকাশ করে চীন। দেশটি বলছে, যেকোনো সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে নিয়ে জাপানও নতুন শঙ্কায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার জাপানের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিষাক্ত সারিন গ্যাস ভরা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর মতো ক্ষমতা রয়েছে উত্তর কোরিয়ার।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দাবি করছেন, উত্তর কোরিয়া যেকোনো দিন জাপানের ওপর সারিন গ্যাস হামলা চালাতে পারে।

রুশভিত্তিক সংবাদমাধ্যম প্রভডা জানিয়েছে, ৬ লাখের বেশি অর্থাৎ শহরের প্রায় ২৫ ভাগ মানুষকে জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, শহরের বাসিন্দারা একে অন্যকে বিদায় জানিয়েছেন।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সাংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী অর্থাৎ ‘ডে অব সান’ উপলক্ষে বিদেশী সংবাদকর্মীদের বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। তবে সেখানে তাদের মোবাইল নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়নি। এই দিনটি উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় উৎসব হিসেবে পালিত হয়।

চ্যানেল নিউজ এশিয়ার বেইজিং প্রতিনিধি জেরেমি কোহ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, ‘আমাদের সকাল ৬টা ২০ মিনিটে পিয়ংইয়ং ছাড়ার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেন সে বিষয়ে কোনো ধারণা নেই।’

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুশ্চিন্তা রয়েছে। সম্প্রতি কোরীয় উপদ্বীপ মুখ করে রণতরীও মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসবের মধ্যেই এমন আশঙ্কার মধ্যেই যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে উত্তর কোরিয়া।

এদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোর গুঞ্জন রয়েছে, শনিবারই ষষ্ঠ পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালাতে পারে উত্তর কোরিয়া।



মন্তব্য চালু নেই