পাকিস্তানে স্কুলে হামলার পর দু’জনের ফাঁসি কার্যকর

পাকিস্তানে স্কুলে তালেবান আক্রমণে শতাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের উপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।

এরপর শুক্রবার রাতেই পাকিস্তানে আকিল এবং আরশাদ মেহমুদ নামের দু’জন বন্দীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

২০০৯ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরদপ্তরে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আকিলকে ফাঁসি দেয়া হয় ।

আর আরশাদের মৃত্যুদণ্ড হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে হত্যা চেষ্টার জন্য।

আগামী সপ্তাহে আরও কয়েকজনের ফাঁসি কার্যকরের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শুজা খানজাদা বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের মাধ্যমে জাতির মনোবল বাড়বে।

পাকিস্তানের সেনা প্রধান এপর্যন্ত সন্ত্রাসের সাথে সম্পৃক্ততার দায়ে ৬ জনের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন বলে খবরে জানা গেছে।

তবে শাস্তি হিসেবে ফাঁসি কার্যকর করার প্রক্রিয়া পুনরায় ফেরত না আনতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা।

জাতিসংঘের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল বলেন, এখন যাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে, তাদের অপরাধ ভিন্ন।

ফলে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে নিরপরাধ ব্যক্তিদেরও ফাঁসি কার্যকর হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে, শুক্রবার আফগান সীমান্তের কাছে তালেবানের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত সন্দেহে ঊনষাট জনকে হত্যা করার কথা জানিয়েছে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী।



মন্তব্য চালু নেই