পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গোপনে আরেকটি ভারতের অভিযান!

জম্মু-কাশ্মিরের নাগরোটায় ভারতের সেনা ক্যাম্পে জঙ্গি হামলায় দুই অফিসার-সহ সাত সেনা নিহত হওয়ার পর হুঁশ ফিরলো ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের৷ ভবিষ্যতে ফের এধরনের জঙ্গি হামলা রুখতে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা৷ খবর সংবাদ প্রতিদিনের।

ভারতের সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ নজর দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দিকেও৷ বুধবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বনগাঁয় পাঁচ সদস্যের বিশেষ বাহিনী পাঠাচ্ছে দিল্লি৷ সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবে ওই বাহিনী৷

নাগরোটায় সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলায় জখম হয়েছেন একাধিক সেনা সদস্য৷ ভারতীয় সেনার পাল্টা জবাবে তিন জঙ্গির মৃত্যু হয়৷ যদিও অসমর্থিত সূত্রের খবর, সেনাদের পাল্টা জবাবে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে৷ ভারতের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এক বৈঠক হয় এদিন৷ ওই বৈঠকে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিএসএফকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

বিএসএফ ডিজি কে কে শর্মা বুধবার জানিয়েছেন, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে বেশ কিছু নদী রয়েছে৷ তাই সে সব অঞ্চলে বাস্তবিকভাবে পাঁচিল তোলা সম্ভব নয়৷ অন্যান্য এলাকাগুলিতে ফেন্সিংয়ের কাজ চলছে৷”

সাম্বায় জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর অন্তত ১৫ জন পাক রেঞ্জার্স ও ১০ জঙ্গিকে মেরেছে ভারতীয় সেনা৷ পাশাপাশি, বেশ কিছু পাক সেনাছাউনিও নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর আমরা ‘অপারেশন রুস্তম’ শুরু করেছি৷ কারণ, আমরা জানতাম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পর মরিয়া হয়ে উঠবে পাকিস্তান, যার প্রভাব পড়তে পারে নিয়ন্ত্রনরেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানায়৷” তিনি আরও জানিয়েছেন, এদিন সকালে নাগরোটায় চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে কিছু বোমা উদ্ধার হয়েছে৷ বোমাগুলি নিস্ক্রিয় করা হয়েছে৷



মন্তব্য চালু নেই