নেপালে ভূমিকম্পে দুর্যোগের পর বৃষ্টির দুর্ভোগ

এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ— দুর্যোগ পিছু ছাড়ছে না নেপালের। ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর একাধিক কম্পন, এভারেস্টে তুষারধসের পর এবার মুশুলধারে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত রবিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি সোমবারও চলতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার সোমবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার বিকেলে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। এ কারণে দেশটি থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে দেরি হয়েছে ভারতীয় বিমানের। ওই দিন সন্ধ্যার দিকে প্রবল বৃষ্টির ফলে ভারতীয় বিমানগুলো কাঠমান্ডু বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারেনি।

বিমানগুলো রবিবার রাতে নিজ নাগরিকদের নিয়ে ভারতের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সোমবার সকালে তা দেশটিতে পৌঁছায়। এ দিন বিকেলে কাঠমান্ডুতে আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে রবিবার দুপুরে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার জন্য ফ্লাইট পরিচালনার কথা থাকলেও নেপালে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় তা বাতিল করা হয়।

এদিকে নেপালী সংবাদমাধ্যম একান্তিপুর জানিয়েছে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ গত রবিবার দুপুরে জানিছে, নেপালে আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত হতে পারে। এ ছাড়া আগামী সপ্তাহেও দেশটিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পুরো নেপালজুড়ে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডু ও উত্তরাঞ্চলে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে দেশটির অনেকাঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলেও সতর্কতা উচ্চারণ করা হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে একের পর এক ভূকম্পনে জীবন-ধারণের জন্য খোলা আকাশের নিচে নেমে আসা হাজার হাজার নেপালীকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ত্রাণ সরবরাহকারী বিদেশী বিমানগুলোর অবতরণেও দেরি হয়েছে। এতে দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের পর দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ২১৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহত হয়েছে অন্তত সাড়ে ৬ হাজার। এ ছাড়া গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৬৬ লাখ লোক।



মন্তব্য চালু নেই