নেপালে এবার বন্যা, ভূমিধস

শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত শুকাতে না শুকাতে হিমালয়ের দেশ নেপাল ভূমিধস ও বন্যার কবলে পড়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে হাজারো বাসিন্দা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ঘর ছেড়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, বিবিসি অনলাইনের।

রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ১৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমের মায়াগদি জেলার রামচিতে শনিবার রাতে ভূমিধসের কারণে সেখানকার কালী গান্দকি নদীর গতিপথ বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য ওই এলাকায় নদীর পানির উচ্চতা ২০০ মিটার পর্যন্ত বেড়ে গেছে। বন্যার আশঙ্কায় সেখানকার বাসিন্দারা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিচ্ছেন।

তবে ভূমিধস ও বন্যায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ওই এলাকায় উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা দিতে সেনাসদস্যদের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নেপাল কর্তৃপক্ষ।

গত ২৫ এপ্রিল নেপালে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর দেশটিতে বেশ কয়েকবার প্রতিঘাত (আফটার শক) অনুভূত হয়। এতে দেশটিতে প্রায় ৯ হাজার লোক নিহত হয়েছে। আহত ১৫ হাজারেরও বেশি। ভূমিকম্পের ফলে নেপালে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৩ লাখ বাড়িঘর। সেই সঙ্গে গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ লাখ মানুষ।

ভূমিধসের কারণ হিসেবে ভূমিকম্পকেই দায়ী করে নেপালি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী প্রসাদ ধাকাল বলেন, ‘আমরা নদীতীরবর্তী গ্রামবাসীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছি। ভূমিকম্পের কারণে পর্বতের টিলাগুলো দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটছে।’

ভূমিকম্পের পর নেপালের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকবার ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

এদিকে বন্যাকবলিত এলাকাতেই নেপালের একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র অবস্থিত। কেন্দ্রটি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা।

সেনা হেলিকপ্টার আক্রান্ত এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছে নেপাল সেনাবাহিনী। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পানির উচ্চতা আরো বাড়লে পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করার ঝুঁকি রয়েছে। যদি ওই নদীতে দেওয়া উঁচু বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে ভারতের বেশ কিছু এলাকাও পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। নেপালের কালী গন্দকি নদীটি ভারতে প্রবেশ করে গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিশেছে।



মন্তব্য চালু নেই