নির্বাচন নিয়ে লুকোচুরি করলেন কেন থেরেসা মে?
গতকাল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে একটি প্রেস কনফারেন্সে হঠাৎ করে আগাম নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। তার এ ঘোষণাকে রসগোল্লাগর মতো লুফে নিয়েছে বিরোধীদলগুলো, বিশেষ করে প্রধান বিরোধীদল লেবার পার্টি। আগাম নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে তার স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনে জয়ের জন্য লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেওয়ার কথাও বলেছে। খবর বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ানের।
অবাক করা বিষয় হলো, ডাকঢোল না পিটিয়েই থেরেসা মের নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা। আগে থেকে এ নিয়ে কোনো সাড়াশব্দ নেই। বরং আগাম নির্বাচন দেওয়ার প্রসঙ্গ এলেই তা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে গণভোটের রায় আসার পর ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করেন এবং ক্ষমতা পান থেরেসা মে। ওই বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বিবিসিকে বলেছিলেন, আগাম নির্বাচন আয়োজন করবেন না তিনি। এরপরও তিনি ও তার মন্ত্রিসভার বারবার বলেছে, নির্ধারিত সময়সূচি ২০২০ সালের আগে কোনো আগাম নির্বাচন হবে না। কিন্তু হঠাৎ ইউ-টার্ন নিলেন থেরেসা মে।
আগাম নির্বাচনের তথ্য গোপন রাখায় হতবাক হয়েছেন যুক্তরাজ্যবাসী। তবে এ তথ্য অবগত ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ইস্টার মানডেতে রানির সঙ্গে কথা বলেন।
দি টাইমস পত্রিকার সিনিয়র পলিটিক্যাল করেসপন্ডেন্ট লুসি ফিশার বলেছেন, ওয়েস্টমিন্সটারের জন্য এটি ‘অত্যাশ্চর্য ঘটনা।’ শুধু আগাম নির্বাচন ঘোষণাই নয়, এ বিষয়ে তথ্য গোপন রেখেও আশ্চর্য ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
থেরেসা মে দাবি করেছেন, দেশের স্থিতিশীলতার জন্য আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া চলা অবস্থায় সাধারণ নির্বাচন দেশের স্থিতিশীলতা আরো হুমকির মুখে পড়বে নয় কি?
মন্তব্য চালু নেই