নির্বাচনী বৈঠকে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের হাতাহাতি

উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের নীতিনির্ধারণী বৈঠক চলাকালে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ক্ষুব্ধ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের একটি অংশ বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ ও কবি আব্দুল হাই শিকদারসহ অন্যরা এসময় তাদেরকে বৈঠকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।

শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপিপন্থি সাংবাদিক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা সিটি নির্বাচনে নিজেদের করণীয়, কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনসহ বিভিন্ন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসেন।

একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ বৈঠকে আগতদের নাম, ঠিকানা, ওয়ার্ড নম্বর, মোবাইল নম্বর লিখে রাখতে কয়েকজন পেশাজীবীকে দায়িত্ব দেন। দায়িত্বপ্রাপ্তরা এসব তথ্য লিখতে গেলে উপস্থিত কয়েকজন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তাদের কাছে জানতে চান, তাদের এ দায়িত্ব কে দিয়েছে। তারা খাতায় নাম লিখতে অস্বীকৃতিও জানান।

এ নিয়ে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয়পক্ষকে কলম দিয়ে একে অপরকে খোঁচাতেও দেখা যায়। পরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা মিলনায়তন ত্যাগ করে বাইরে অবস্থান নেন।

এরপরই মঞ্চে বক্তৃতাকালে কবি আব্দুল হাই শিকদার বলেন, ‘আমাদের অভ্যন্তরীণ কলহ ভুলে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাহলেই নির্বাচনে আমরা ৯০ শতাংশ ভোট পাবো।’ তবে এরপর তার কাছে হাতাহাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

পরে বাইরে অবস্থান নেয়া অংশকে মিলনায়তনে ডেকে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন শওকত মাহমুদ। পরে তিনি মিলনায়তনের বাইরে এসে তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা ফাইজলামি করার সাহস পাও কোথায়? প্রেসক্লাবে এসে আমাদের সামনে মাস্তানি করার সুযোগ আমি দিব না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শওকত মাহমুদ বলেন, ‘বসার আসন নিয়ে এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়েছিল।’

পরে তারা প্রেসক্লাব এলাকা ত্যাগ করলেও অন্য অংশকে নিয়ে পেশাজীবী নেতারা বৈঠক চালিয়ে যান।



মন্তব্য চালু নেই