নিউইয়র্ক টাইমস না পড়লে ২০ বছর বেশি বাঁচতাম!
মঙ্গলবার নিজের সবচেয়ে কঠিন সমালোচক হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক টাইমস-এর অফিসে যান নব নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউইয়র্ক টাইমস প্রকাশক আর্থর সুল্জবার্গার, বিভিন্ন বিভাগের সম্পাদক, কলামিস্ট, সাংবাদিকদের সাথে মুক্ত আলোচনায় বসেন তিনি। নিউইয়র্ক টাইমস পড়েন কিনা এটা জিজ্ঞেস করলে পত্রিকাটি কীভাবে অতীতে অনেক জ্বালিয়েছে সেটার কথা স্মরণ করে ট্রাম্প বলেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস না পড়লে আরও বিশ বছর বেশি বাঁচতাম।’
নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টনকে সরাসরি সমর্থন জানিয়ে আসছিল দ্য নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট এবং সিএনএন এর মতো মার্কিন সংবাদ মুঘল। বিশেষ করে নিউইয়র্ক টাইমস এর কড়া প্রতিবেদন এবং কলাম ট্রাম্পকে বেশ ভুগিয়েছে। রিয়াল এস্টেট টাইকুন ও ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করার সময়ও নিউইয়র্ক টাইমস ছিল তার কড়া সমালোচক।
৮ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ট্রাম্প বিভিন্ন সভা করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সাথে। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ম্যানহাটনে অবস্থিত নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রধান কার্যালয়ে ভিজিট করেন।
দুই পক্ষের মধ্যে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়। টুইটার থেকে সরাসরি আপডেট জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। পরে পুরো আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করে পত্রিকাটি। সেখানে দেখা যায় কার্যালয়ে আসার জন্য প্রথমেই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান পত্রিকাটির প্রকাশক আর্থর সুল্জবার্গার। সহজে শুরু করার জন্য ট্রাম্পের পেছনে থাকা উইনস্টন চার্চিলের ছবি নিয়ে আলোচনা তোলেন সুল্জবার্গার। ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন চার্চিল ভক্ত। সাবেক এই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর একটি ছবি ছিল ওভাল অফিসে। সেটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প চার্চিলের একটি ছবি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
ধীরে ধীরে আলোচনায় প্রবেশ করলে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় নিউইয়র্ক টাইমস পড়েন কিনা? তখন ট্রাম্প এ কথাটি বলেন, ‘নিউইয়র্ক টাইমস না পড়লে তো আরও বিশ বছর বেশি বাঁচতাম!’ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্ক টাইমস এর ভূমিকা নিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘টাইমস-এর প্রতি আমার অনেক শ্রদ্ধা আছে; কিন্তু আমি মনে করি আমাকে খারাপভাবে ট্রিট করেছে টাইমস।’ গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনী ফলাফল বের হওয়ার আগের সময়টাকে ‘১৮ মাসের নির্মমতা’(ব্রুটালিটি) হিসেবে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।
কঠিন প্রতিপক্ষ হিলারি ক্লিন্টনসহ দলে ও দলের ভেতরে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হওয়াসহ নিউইয়র্ক টাইমস-এর মতো সমালোচক গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকার কথা মনে করে এ কথাটি তার মুখ থেকে উঠে আসে এটা বলাই বাহুল্য।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস্
মন্তব্য চালু নেই