ভিখারির ভাগ্যে জোটেনি ১০ টাকা চালের কার্ড

রবীন্দ্রনাথ দেবনাথ নামে আশি বছরের এক বৃদ্ধর ভাগ্যে জোটেনি ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের কার্ড। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাপমারা ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামে।

তিনি জানান, রতীন্দ্রনাথ নামে তার এক ছেলে আছে। সে নওগাঁর বরাল জামুরহাট এলাকায় বিয়ে করে সেখানেই ঘরজামাই হিসেবে থাকে। স্ত্রী রমনীচন্দ্র দেবনাথও কাজ-কর্ম করতে পারেন না। তারও একই অবস্থা। তাই পেটের ক্ষুধা মেটাতে সাহায্যের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রবীন্দ্রনাথ।

তিনি বলেন, ‘১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের কার্ড পাওয়ার আশায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রফিকুল ইসলামের কাছে কয়েকদিন গেছি। তারা বলেছে, তালিকা হয়ে গেছে।’

রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী রমনীচন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ঘরে এক মুঠো চাল নেই-খাব কি, বাঁচি কেমনে। এমন পরিস্থিতিতে সাহায্যের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে। এভাবে সারাদিনে যা পাই, তা দিয়ে কোনোমতে জীবন বাঁচাই।’

চালের কার্ড বিতরণ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও মেম্বর রফিকুল ইসলামকে পাওয়া যায়নি। এমনকি ইউপি চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মদ বুলবুলের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক আজমত আলী জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কমিটির প্রণয়ন করা তালিকা অনুযায়ী ১০ টাকা কেজির খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে নতুন করে তালিকাভুক্তির কোনো সুযোগ নেই।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার দেব জানান, সাপমারা ইউনিয়নের অসহায় দুঃস্থ ১ হাজার ৫০ পরিবারকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে কোনো সুযোগ এলে রবীন্দ্রনাথ দেবনাথের বিষয়টি দেখা হবে।



মন্তব্য চালু নেই