নতুন সংবিধান পেল নেপাল

শেষ পর্যন্ত নতুন সংবিধান পেয়েছে নেপাল। বুধবার রাতে দেশটির গণপরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতার ভোটে নতুন সংবিধানটি পাস হয়।

রাজতন্ত্র ও মাওবাদীদের সঙ্গে চলমান গৃহযুদ্ধ অবসানের দুই বছর পর ২০০৮ সালে নেপালে নুতন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। তবে নতুন সংবিধানের খসড়া নিয়ে দেশটির রাজনৈতিক দল কমিউনিস্ট পার্টি জোট (মাওবাদী) ,নেপালি কংগ্রেস, কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল ও মদেশি জন অধিকার ফোরাম ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেনি। গত এপ্রিলে দেশটিতে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ৮ হাজার ৯শ লোক নিহত হয়। এ ঘটনার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অচলাবস্থার অবসান হয়।

নতুন সংবিধানে নেপালকে ফেডারেল রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ২ কোটি ৮০ লাখ বাসিন্দার এই দেশটিকে সাতটি অঙ্গরাজ্যে ভাগ করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি দেশটির মদেসি ও থারু সম্প্রদায় এর বিরোধিতা করে আসছিল। তাদের দাবি, এর ফলে সংসদে তারা সীমানা ইস্যুতে বৈষম্যের শিকার হবেন। গত কয়েক মাস ধরে চলা সংঘর্ষে ৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে।

গত রোববার নতুন সংবিধানের ওপর গণপরিষদে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এটি চলে বুধবার রাত পর্যন্ত। ৫৯৮ আইনপ্রণেতার মধ্যে ৫০৭ জন নতুন সংবিধানের পক্ষে ভোট দেন। নতুন সংবিধানে নেপালকে হিন্দু রাষ্ট্রের পরিবর্তে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবিধান পাসের পর প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা এক টুইটারবার্তায় জানিয়েছেন, ‘এটা প্রত্যেক নেপালির জন্য গর্বের ব্যাপার যে জনগণের সংবিধান গণপরিষদে পাস হয়েছে।’

এর আগে কৈরালা জানিয়েছিলেন, নতুন সংবিধান পাস হলে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং নতুন সরকার গঠণ করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই